প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল গ্রেফতার

কোষাধ্যক্ষ এ কে এম আশরাফুল হক

যৌন হয়রানির অভিযোগে বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এ কে এম আশরাফুল হককে গ্রেপ্তার করেছে বনানী থানা পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়টির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা রিফাত জাহান তারিনের দায়ের করা এক মামলার ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। গত রবিবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মামলার আগেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানায় রিফাত জাহান তারিন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান করতে না পারায় থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই কর্মকর্তা।

মামলার এজাহারে রিফাত জাহান তারিন অভিযোগ করেন, ‘আসামী ২০১৭ সাল থেকে মেসেঞ্জারে নক করে এবং কুশলাদী বিনিময় হয়। এর কিছুদিন পর সে আমাকে আমাকে বাইরে দেখা করার প্রস্তাব দিলে আমি তা কৌশলে এড়িয়ে যাই। তারপর আসামী আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নামি-দামি হোটেলে নিয়ে যেতে চায়। আসামী আমার পরিবারের সঙ্গে মিল রেখে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে বলে, তা না হলে আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার ভয়ভীতি প্রদান করে।

এক পর্যায়ে গত ২০ নভেম্বর আনুমানিক বিকাল ৫টার দিকে অফিস শেষ করে লিফটে নামার সময় আসামীকে লিফটের মধ্যে একা দেখে ইসস্তত বোধ করি এবং লিফটে উঠতে না চাইলে আসামী আমাকে বারবার অনুরোধ করলে লিফটে উঠি। লিফটে আমি ও আসামী ছাড়া কেউ ছিল না। লিফটের দরজা বন্ধ হওয়ার পর আসামী যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে হাত ধরে টানাটানি করে।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী বলেন, ‘বেশ কয়েক মাস আগে ওই নারী কর্মকর্তা অভিযোগ নিয়ে আসলে সেটি বোর্ডকে (বোর্ড অব ট্রাস্টিজ) জানাই। পরবর্তীতে বোর্ড থেকে আমাকে জানানো হয়, এক বোর্ড সদস্যের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হয়। এছাড়া ওই নারী কর্মকর্তাকে নির্বিঘ্নে চাকরি করার কথা বলা হয়। তবে মামলার এজাহারে গত বুধবারের যে ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।’

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বনানী থানার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মকর্তার দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।’