মুরসির মৃত্যুকে অস্বাভাবিক বলছেন এরদোগান
- ১৯ জুন ২০১৯, ১৬:১১
মিসরের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একমাত্র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে দাবি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, মুরসির মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে হয়েছে, এমনটি আমি বিশ্বাস করি না।
মঙ্গলবার ইস্তানবুলের ফাহিত মসজিদে মুরসির গায়েবানা জানাজায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে ইস্তানবুলের হ্যালিক সেন্টারে দেয়া এক বক্তৃতায় মুসলিম বিশ্বের এ নেতা কারাগারে রেখে মুরসিকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে মোহাম্মদ মুরসি শহীদ। ইতিহাস ও মিসরের জনগণ সেই (সিসি) একনায়ককে ক্ষমা করবে না, যে কিনা জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে জেল দিয়েছে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নির্যাতন করেছে এবং তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি তার হাজার হাজার বিপ্লবী সমর্থককে নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে কারাগারে ছিলেন কিন্তু পাশ্চাত্যের কেউ এর প্রতিবাদ করেনি।
এরদোগান বলেন, আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের শহীদ ভাইদের জন্য দোয়া করছি, আল্লাহ যেন শহীদদের ওপর রহম করেন। তিনি বলেন, মিসরীয়দের মুক্তির জন্য শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মুরসি যে সংগ্রাম করে গেছেন, সেটি সব মুসলমান যুগ যুগ স্মরণ করবে।
তিনি বলেন, মিসরের নিপীড়ক শাসক গণতন্ত্র কায়েম করতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া নেতাদের জুলুম করে হয়তো সাময়িক বিজয় অর্জন করেছে। কিন্তু তাদের আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস মিসরীয়দের মন থেকে মুছে দিতে পারবে না। তুর্কি প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনা করে বলেন, সিসি ক্ষমতায় আসার পর মিসরীয়দের ফাঁসি দিলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ বিষয়ে নীরব থেকেছে। এমনকি মিসরে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইউরোপীয় দেশগুলো অংশ নিয়েছে যখন সেখানে ফাঁসির ঘটনা ঘটছিল।
এরদোগান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্ককে ফাঁসির আদেশ বাতিলের জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছে কিন্তু মিসরে তারা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এমন সময় অংশ নিয়েছে যখন সে দেশের নাগরিকদের ফাঁসি দেয়া হচ্ছিল। আর এ থেকে প্রমাণিত হয় ইউরোপ মানবাধিকার বিষয়ে দ্বিমুখী আচরণ করছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মিসরে প্রথমবারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মিসর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হার্টঅ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এ মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।