নুরকে ‘সিনেট সদস্য’ বানিয়েছেন সাদ্দাম: রাব্বানী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেটে ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যাপারে অবশেষে মুখ খুলেছেন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেছেন, ডাকসুর ২৫ জন সদস্যের মতামত অর্থাৎ ভোটাভুটির ভিত্তিতে সিনেটের ৫ জন প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়েছে। এতে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর মাত্র ১ ভোট পেয়েছিলেন, যার ফলে তিনি সিনেটে প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা হারিয়েছিলেন।

তবে ভোটে নিরঙ্কুশ ব্যবধানে জয়ী হয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের মতামতের উপর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন। সাদ্দাম নিজের পদটি ছেড়ে দিয়ে নুরকে জায়গা করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন রাব্বানী। নিচে রাব্বানীর সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু), যাকে বলা হয় সেকেন্ড পার্লামেন্ট মিনি পার্লামেন্ট। এখানে যেকোনো সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অর্থাৎ ভোটের মাধ্যমে নেয়া হয়ে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাদের প্রত্যক্ষ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন সেই ২৫ জন সদস্য, ভিপি-জিএস-এজিএস থেকে সকল সম্পাদক ও সদস্য সবার ভোটের মূল্যমান সমান এবং একজন কেবল ১টি ভোটের মালিক।

আরও পড়ুন: সম্মতি-স্বাক্ষর না নিয়েই ‘সিনেট সদস্য’ বানিয়েছেন রাব্বানী

নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ডাকসুর ২৫ জন সদস্যের মতামত অর্থাৎ ভোটাভুটির ভিত্তিতে সিনেটের ৫ জন প্রতিনিধি নির্বাচন করার কথা। সেই অনানুষ্ঠানিক ভোটের সমীকরণে ডাকসু ভিপি মাত্র ১ ভোট পেয়েছিলেন সিনেটে প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা হারিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটে নিরঙ্কুশ ব্যবধানে জয়ী হয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতামতের উপর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে স্বীয় পদটি ছেড়ে দিয়ে ছোটভাই নুরকে জায়গা করে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন।

ভোটে জিতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিমত ও ভিপি পদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ উদারতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বলে আমি মনে করি। অভিনন্দন সাদ্দাম, দিনশেষে তুই-ই জয়ী, আমার চোখে তুই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনেট সদস্যের চেয়ে অনেক বড় কিছু। ভালোবাসা রইলো।’