চলতি মাসেই শৈত্যপ্রবাহ, সময় জানালেন আবহাওয়াবিদ
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৫
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে শীতের দাপট। পৌষের শুরুতেই উত্তুরে হাওয়া, কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে প্রায় সারাদেশেই। যদিও আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কাল থেকে কিছুটা তাপমাত্রা বেড়ে আবার মাসের শেষের দিকে কমতে পারে। একইসাথে তখন শৈত্যপ্রবাহের আভাস আছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে এসব তথ্য জানান।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য যদি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে আসে, সেখানে শীতের অনুভূতি বাড়তে থাকে। কিন্তু পার্থক্য যদি পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসে তবে শীতের অনুভূতি প্রকট থেকে প্রকটতর হয়। অর্থাৎ হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হয়। তখনই কেবল আমরা শৈত্যপ্রবাহ বলে থাকি।’
তিনি বলেন, ‘এ মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সময়ের মধ্যে একটি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। তখন শীতের দাপট আরও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: এত শীতের কারণ কী, কতদিন থাকবে শীতের তীব্রতা?
ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘শুক্রবার বিভিন্ন জেলার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার তুলনা করে দেখা গেছে রংপুর, দিনাজপুর, তেতুলিয়ার মতো উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ অঞ্চলেই তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম। এছাড়া ঢাকা, বগুড়া, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলেও তাপমাত্রার পার্থক্য ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম।’
নিয়ম অনুযায়ী, তাপমাত্রা আট থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আর চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। আর তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে হয় অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গা তাপমাত্রাই কেবল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে আছে। তবে শীতের তীব্রতা সারাদেশেই অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমারও আশঙ্কা রয়েছে। দিনের বেলায় আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বর্তমানে উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। একই সময়ে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এ পরিস্থিতির প্রভাবেই দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় কুয়াশা ও শীতের অনুভূতি বাড়ছে।