হোয়াটসঅ্যাপে গোপন চ্যাট সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১২
স্মার্টফোনে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা এখন ব্যবহারকারীদের অন্যতম বড় উদ্বেগ। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ চালু করেছে ‘চ্যাট লক’ ফিচার, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কথোপকথন আলাদা করে সুরক্ষিত রাখা যায়।
এই ফিচার ব্যবহার করলে পছন্দের কোনো চ্যাট সাধারণ চ্যাট তালিকা থেকে সরে গিয়ে একটি আলাদা ‘লকড চ্যাটস’ ফোল্ডারে সংরক্ষিত হয়। ওই ফোল্ডারে প্রবেশ করতে প্রয়োজন হয় ফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস আইডি বা পাসকোড। ফলে ফোন আনলক থাকলেও লক করা চ্যাটে অন্য কেউ সহজে ঢুকতে পারে না।
চ্যাট লক করতে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ খুলে কাঙ্ক্ষিত চ্যাটটির ওপর কিছুক্ষণ চেপে ধরতে হবে। এরপর উপরের লক আইকনে ট্যাপ করতে হবে অথবা চ্যাটের প্রোফাইল অপশনে গিয়ে ‘চ্যাট লক’ নির্বাচন করতে হবে। বায়োমেট্রিক বা পাসকোড দিয়ে নিশ্চিত করলেই চ্যাটটি লক হয়ে যাবে।
চ্যাট লক করা হলে নোটিফিকেশনেও বাড়তি নিরাপত্তা যোগ হয়। নতুন মেসেজ এলে নোটিফিকেশনে মেসেজের বিস্তারিত লেখা দেখা যায় না, শুধু ‘নিউ মেসেজ’ দেখায়। এতে করে আশপাশের কেউ সহজে বুঝতে পারে না কে বা কী বিষয়ে মেসেজ পাঠিয়েছে।
সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ আরও উন্নত নিরাপত্তার জন্য ‘সিক্রেট কোড ফর লকড চ্যাটস’ সুবিধা চালু করেছে। এই ফিচারে ব্যবহারকারী নিজের পছন্দের একটি কোড সেট করতে পারেন। সেই কোড ছাড়া লকড চ্যাটস ফোল্ডার খুঁজে পাওয়া যাবে না, এমনকি সার্চ করলেও চ্যাটগুলো দেখা যাবে না।
লক করা চ্যাট আনলক করাও সহজ। লকড চ্যাটস ফোল্ডারে গিয়ে নির্দিষ্ট চ্যাট নির্বাচন করে ‘আনলক চ্যাট’ অপশন চাপলেই সেটি আবার সাধারণ চ্যাট তালিকায় ফিরে আসে।
সব মিলিয়ে, হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট লক ফিচার ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অফিসিয়াল কাজ হোক বা ব্যক্তিগত আলোচনা—এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছেন।