কর্মসূচি সফল করতে সহযোগিতার জন্য তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

তারেক রহমান
তারেক রহমান © টিডিসি সম্পাদিত

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরার পর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস রিলিজে এই তথ্য জানানো হয়। দলের চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার এটি গণমাধ্যমে প্রেরণ করেন।

প্রেস রিলিজে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি সফল করার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মাদ ইউনুস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সিভিল প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার বাহিনী, চেয়ারপার্সন সিকিউরিটি ফোর্সসহ (সিএসএফ) সকল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ছাত্র, জনতা, শ্রমিক এবং সকল শ্রেণি-পেশার জনগণ ও সকল ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সদস্যদের প্রতি তারেক রহমান আন্তরিক ধন্যবাদ ও গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।’

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট। বিমানবন্দরে পৌঁছালে বিএনপির সিনিয়র নেতারা তারেক রহমানকে স্বাগত জানান। এ সময় বিমানবন্দরেই তাকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু। এরপর নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তারেক রহমান। পরে তিনি বিমানবন্দরের বাইরে ফুল বাগানে গিয়ে জুতা খুলে দেশের মাটির স্পর্শ নেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। আগে থেকেই রাখা বিশেষ গাড়িতে চড়েন তারেক রহমান। এরপর রওনা হন রাজধানীর পূর্বাচলের ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) সংলগ্ন বিশাল গণসংবর্ধনা সমাবেশে। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর রাস্তার দুপাশে অপেক্ষমাণ লাখো জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সংবর্ধনা মঞ্চের উদ্দেশে যাচ্ছেন তারেক রহমান।

৩০০ ফিট এলাকায় সংবর্ধনা সমাবেশ শেষে এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন মা, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যান তারেক। পরে সেখান থেকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলশান অ্যাভেনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে পৌঁছেন তিনি।