ক্ষোভে সিলেট ছাড়ছেন নোয়াখালীর দুই কোচ!
- ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:১৫
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু হতে ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। কিন্তু টুর্নামেন্টের শুরুতেই একের পর এক নাটকীয় ঘটনার জন্ম দিচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা পরিবর্তনের খবর দিয়ে দিনটি শুরু হয়েছিল। এবার দুপুর না হতেই নেতিবাচক খবরের শিরোনামে যুক্ত হয় নোয়াখালী এক্সপ্রেসও। দলের অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় অনিয়মের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুশীলন ছাড়েন প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
পরবর্তীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চড়ে মাঠ ত্যাগ করেন সুজন ও সহকারী কোচ তালহা। এরপর হোটেল থেকে ব্যক্তিগত সামগ্রী ও ব্যাগপত্র সংগ্রহ করে ঢাকা ফেরার সিদ্ধান্ত নেন এবং ইতোমধ্যেই বিমানের টিকিটও করেছেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালহা জুবায়ের।
তার ভাষ্যমতে, ‘কোনো কিছুই আসলে আমাদের অধীনে নেই, আমরা কোচ হওয়া সত্ত্বেও কিছু জানি না। সুজন ভাইও কিছু জানে না, আমাদের কাছে কোনো কিছুর দায়িত্ব (বুঝিয়ে) দেয়নি। অনুশীলনের কিছু নাই বল বা স্ট্যাম্প যেটা বলেন মানে রাবারের যে স্ট্যাম্প একটাও নাই। আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করি, বিপিএলে দুইদিন ধরে কাজ করতে পারছি না।’
নোয়াখালীর এই কোচের অভিযোগ, ‘যখন ঢাকায় ছিলাম তখন আমাদের প্র্যাকটিস থাকত ১১টায়, আর বল নিয়ে আসতো ১টার সময় দুই ঘণ্টা পরে। ক্রিকেটারদের কাছ থেকে বল নিয়ে আমরা অনুশীলন করেছি ঢাকায়। এখানে আমাদের কাছে বল বুঝিয়ে দেবে না, মনে হয় আমরা চুরি করব। আজকে আমরা অনুশীলনে এসেছি, কালকে আমাদের প্রথম ম্যাচ। আজকে বল নিয়ে এসেছে মাত্র তিনটা আর কোনো কিছু (প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম) নেই, মানে কোনো কিছুই নাই।’
নোয়াখালীর বোলিং কোচ বলেন, ‘সবকিছু ওদের (ফ্র্যাঞ্চাইজি) লোকজন করছে, তাহলে আমরা কাজটা করব কীভাবে। আমরা চলে যাচ্ছি, এভাবে আসলে কাজ করার কোনো মানে হয় না। নিজের সম্মানহানি করে কাজ করতে পারব না, আমরা ফ্লাইটের টিকিটও করে ফেলেছি। ব্যাগ গুছিয়ে নিয়েছি, আমিও করব না, সুজন ভাইও করবে না। আর আমরা এখনও পর্যন্ত কোনো পেমেন্ট পাইনি, ডে-এলাউন্স যেটা সেটাও পাইনি। মূলকথা আমাদের হাতে কোনো টাকা-পয়সা আসেনি।’