রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহতের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের উদ্বেগ

ছাত্রশিবিরের লোগো
ছাত্রশিবিরের লোগো © টিডিসি সম্পাদিত

আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে নিক্ষিপ্ত ককটেল বোমার বিস্ফোরণে সিয়াম নামের এক যুবকের মর্মান্তিক নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ (২৪ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে একের পর এক চোরাগোপ্তা ও সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দুঃখজনকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা ও দায়িত্বহীনতার সুযোগে সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এরই পরিণতিতে শহীদ ওসমান হাদির মতো বিপ্লবী এবং  সিয়ামের মতো যুবকদের জীবন দিয়ে এর মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে।”

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “অভ্যুত্থান-পরবর্তী দেশের ইতিবাচক রূপান্তরের এই সংবেদনশীল সময়ে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা কোনোভাবেই স্বাভাবিক বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। যারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় এবং বিদেশি আধিপত্যবাদী স্বার্থ এ দেশে টিকিয়ে রাখতে আগ্রহী, তারাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব নৈরাজ্য সৃষ্টির পেছনে জড়িত।”

বর্তমান দেশের ভয়াবহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চিত্র তুলে ধরে নেতৃবৃন্দ বলেন, “গতকাল নোয়াখালীতে চর দখলকে কেন্দ্র করে পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনা ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দখলদারিত্ব, আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে একের পর এক হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহভাবে অবনতি ঘটেছে। এসব ঘটনার দায় সরকার ও সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমরা অবিলম্বে মগবাজারের এই নৃশংস ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে প্রশাসনকে দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই। পাশাপাশি দেশপ্রেমিক ও সচেতন জনগণকে আইনসম্মত ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।”