১০০ উইকেট বানানোর উদ্যোগ বিসিবির, নেপথ্যে যেসব বিষয়

১০০ উইকেট বানানোর উদ্যোগ বিসিবির
১০০ উইকেট বানানোর উদ্যোগ বিসিবির © সংগৃহীত

মিরপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম—এই তিন ভেন্যু বাদ দিলে দেশের বেশিরভাগ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অবস্থা এখনো নড়বড়ে। অনেক মাঠের অবকাঠামো যেমন জরাজীর্ণ, তেমনি উইকেটের মান নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। হাতে গোনা কয়েকটি মাঠ ছাড়া অধিকাংশ উইকেটই নিয়মিত ব্যবহারের উপযোগী নয়। এসব সমস্যা সমাধানে ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নতমানের উইকেট প্রস্তুতের লক্ষ্যে ‘হান্ড্রেড উইকেটস ইন ২০২৬’ শীর্ষক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিসিবি।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বোর্ড মিটিং শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট। 

তার ভাষ্যমতে,  ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যদি ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, মাঠ খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাঠ ছাড়া ক্রিকেটে আগানো খুব কঠিন। আপনারা জানেন অনেকগুলো মাঠ কিন্তু খুবই বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ফতুল্লার আউটারের কথা যদি বলেন... সঙ্গে সঙ্গে পূর্বাচলের যে মাঠটা আছে দীর্ঘদিন ধরে সেটা আমাদের তালিকাভুক্ত। কিন্তু মাঠের কোনো ধরনের উন্নতি হয়নি। আমরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করেছি কিন্তু দ্রুতই আমরা চাচ্ছি যে এই মৌসুমের মধ্যে একশর বেশি উইকেট বানানোর জন্য চেষ্টা করছি।’

অবশ্য, তবে ‘হান্ড্রেড উইকেটস ইন ২০২৬’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নতুন কোনো মাঠ কেনার পথে হাঁটছে না বিসিবি। বিদ্যমান স্টেডিয়াম ও মাঠগুলোকেই আধুনিকায়ন এবং মানোন্নয়নের মাধ্যমে এই লক্ষ্য পূরণ করতে চায় সংস্থাটি। এর আওতায় অবকাঠামো সংস্কারের পাশাপাশি উইকেট প্রস্তুত ও রক্ষণাবেক্ষণে নতুন প্রযুক্তি ও বিশেষজ্ঞ সহায়তা নেওয়ার পরিকল্পনা বোর্ডের। 

খালেদ মাসুদ বলেন, ‘ছোট ছোট কিছু কাজ হচ্ছে, যার জন্য হয়তো মাঠে খেলা হচ্ছে না। আপনি যদি ফতুল্লার আউটার খেয়াল করেন, দেখেন- সেখানে সমস্ত কিছু ফেলা আছে হয়তো ২০ শতাংশ কাজ আছে যার জন্য হয়তো খেলাই হচ্ছে না। ওটার যদি উন্নতি করা যায়, ওখানে প্রায় ৯টার মতো উইকেট হবে। পূর্বাচলে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি, আজকে অনেক কথা বলেছি অনেকটা এগিয়েছে এটা। আশা করছি এখানেও ১০টা করে মোট ২০টা উইকেট হবে।’

তিনি যোগ করেন, ‘আমার যতটুকু অভিজ্ঞতা আছে আমাদের বিভাগীয় ভেন্যুগুলো- বগুড়া, খুলনা, রাজশাহীর কথা বলেন, এখানে কিন্তু ২০ বছর আগের পাঁচটা করে সেন্টার উইকেট আছে। দুই পাশে দুটা করে চারটা উইকেট আছে। এই মাঠগুলোতে যখন বয়সভিত্তিক কিংবা প্রথম শ্রেণির খেলা হয় তখন ওই পাঁচটা উইকেটেই খেলা হয়। এর ফলে একটা সময় পর উইকেটের আর ঘাস থাকে না। ওই সেন্টার উইকেটগুলোতে আমরা যদি আরও দুই পাশে দুইটা করে চারটা উইকেট বাড়াই...। ড্রেসিংরুমের সামনেও দুইটা করে চারটা উইকেট আছে। বিপরীত পাশেও যদি আমরা দুইটা করে উইকেট বানাই তাহলে ভবিষ্যতে প্রত্যেকটা ভেন্যুতে আমরা ভালো উইকেট দিতে পারব।’