নারী কর্মকর্তার বসার জায়গা নিয়ে তুলকালাম মাউশিতে

মাউশি
মাউশি © ফাইল ছবি

সদস্য পদায়ন পাওয়া কামরুন নাহার রিমার বসার জায়গা নির্ধারণ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি)। মাউশির প্রশাসন শাখায় বদলি হওয়া রিমার বসার জায়গা নির্ধারণ নিয়ে সংস্থাটির দুই কর্মকর্তার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক কর্মকর্তা আরেক কর্মকর্তাকে রুমে থাকা চাকু নিয়ে মারতে উদ্যত হন বলে জানা গেছ। 

গত সোমবার দুপুরে মাউশির প্রশাসন শাখার উপ-পরিচালক মো. শাহজাহানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। 

হাতাহাতিতে জড়ানো কর্মকর্তারা হলেন-উপ-পরিচালক শাহজাহান এবং একই শাখার সহকারী পরিচালক মো. খালিদ হোসেন। 

মাউশি ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আট মাস পূর্বে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক (এডি এডমিন) হিসেবে পদায়ন পান কামরুন নাহার রিমা। আট মাসের ব্যবধানে মাউশিতে সদ্য সৃষ্ট এডি এডমিন পদে পদায়ন করা হয় তাকে। 

মাউশিতে যোগদানের পর প্রাথমিকভাবে ভবনের নিচতলায় তার বসার ব্যবস্থা করা হয়। তবে পরে তাকে তৃতীয় তলায় সহকারী পরিচালক মো. খালিদ হোসেনের ব্যবহৃত দুটি কক্ষের একটি দেওয়ার উদ্যোগ নেন উপ-পরিচালক মো. শাহজাহান।

সোমবার এ বিষয়টি নিয়ে মো. শাহজাহান তার কক্ষে মো. খালিদ হোসেনের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় খালিদ হোসেন কামরুন নাহার রিমাকে অন্য কোনো কক্ষে বসার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাউশির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে উপ-পরিচালক শাহজাহান খালিদ হোসেনকে জামায়াত বলে সম্বোধন করেন। এ সময় এই দুই কর্মকর্তার মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে মো. শাহজাহান তার রুমের কিচেন রুমে থাকা চাকু নিয়ে খালিদ হোসেনের ওপর অক্রমন করার চেষ্টা করেন। এ সময় কক্ষে থাকা অন্য কর্মকর্তারা তাদের নিবৃত করেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী পরিচালক খালিদ হোসেন বলেন, ‘এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে রাজি না।’

হাতাহাতি হয়নি দাবি করে উপ-পরিচালক মো. শাহজাহান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘কামরুন নাহার রিমাকে প্রশাসনিক কাজে তৃতীয় তলার একাধিক কর্মকর্তার কক্ষে যেতে হয়। সেজন্য খালিদ হোসেনকে আমি একটি কক্ষ ছেড়ে দিতে বলি। তখন বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি। চাকু নিয়ে মারতে উদ্যত হওয়ার বিষয়টিও সঠিক নয় বলে দাবি তার।’