নির্বাচনে পুলিশের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন : আইজিপি

কথা বলছেন আইজিপি বাহারুল আলম
কথা বলছেন আইজিপি বাহারুল আলম © সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর করার মত পূর্ণ সক্ষমতা বাংলাদেশ পুলিশের রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ডিসি, এসপি, বিভাগীয় কমিশনার, সব রেঞ্জের ডিআইজি ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দিনব্যাপী সংলাপে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বাহারুল আলম জানান, পুলিশ তার সর্বশক্তি ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এবারের নির্বাচন সফল ও শান্তিপূর্ণ করতে বদ্ধপরিকর। দেশবাসী ও নির্বাচন কমিশন আমাদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন। তিনি আরও বলেন, রাস্তাঘাট অবরোধ বা সমাজে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা বন্ধ করার সময় এসেছে।

আইজিপি বলেন, জুলাই-পরবর্তী সময়ে বাস্তব কারণেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবে আমরা সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছি। নির্বাচনের আগে এই পর্যায়ে এসে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের বাহিনী যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করেছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের আশ্বস্ত করে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, পুলিশ বাহিনী এখন যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্পূর্ণ সক্ষম। ইসির পদক্ষেপের প্রশংসা করে আইজিপি বলেন, ইলেক্টরাল ইনকোয়ারি কমিটিকে সামারি ট্রায়ালের (সংক্ষিপ্ত বিচার) মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতা কামনা করেন। বলেন, ছাড়া ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রয়োজনে পুলিশের পাশাপাশি যে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে পারবেন, এমন প্রবিধান রাখায় আমি কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই।

এ সময় পুলিশ প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের রদবদল নিয়ে ইসির কাছে স্পষ্টীকরণ চান আইজিপি। তিনি বলেন, এসপি বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বদলির বিষয়ে কমিশনের নির্দেশনা থাকে। তবে কনস্টেবল বা সাব-ইন্সপেক্টরের মতো সর্বনিম্ন পদেও রদবদলের ক্ষেত্রে কমিশনের পূর্বানুমতি প্রয়োজন কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন।

আলোচনা সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।