পূর্বের প্রশাসনের শাস্তিসহ ৫ দাবিতে ইবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্মারকলিপি
- ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:২৭
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান ও অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন, সাবেক ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ, সাবেক ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনসহ জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারীর তালিকা থেকে বাদ পড়া শিক্ষকদের শাস্তি সহ ৫ দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে ইবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন ইবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক এস এম সুইট।
তাদের অন্যান্য দাবি হলো- শহীদ ওসমান হাদিকে নিয়ে কটুক্তি করার দায়ে পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেনকে কালক্ষেপণ ছাড়াই স্থায়ী বহিষ্কার করা, জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী হিসেবে বাদ পড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাঘব-বোয়ালদের চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশের আগ পর্যন্ত সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যহতি প্রদান, পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র সংসদ ব্যাতিত বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের নির্বাচন বন্ধ রাখা, দ্রুততম সময়ের মধ্যে গত ১৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত সকল ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ইবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক এস এম সুইট বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ দীর্ঘদিন ধরে একটি ন্যায়ভিত্তিক, মর্যাদাশীল ও গণতান্ত্রিক শিক্ষাঙ্গনের প্রত্যাশা করে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি, নৈতিক অবস্থান এবং শিক্ষার্থীদের গণআকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি কিছু সাম্প্রতিক ঘটনা আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে। প্রশাসনকে অবশ্যই বিষয় গুলো জরুরি ভিত্তিতে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই দাবিসমূহ বাস্তবায়নে প্রশাসনের ব্যর্থতা শিক্ষার্থী সমাজকে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য করবে যার সম্পূর্ণ দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই বহন করতে হবে।