আর্লিং হালান্ডকে কেনার ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল রিয়াল মাদ্রিদ

আর্লিং হালান্ড
আর্লিং হালান্ড © সংগৃহীত

নরওয়েজিয়ান গোলমেশিন আর্লিং হালান্ড কি তবে রিয়াল মাদ্রিদেই যাচ্ছেন? গত কয়েক বছর ধরে ফুটবল বিশ্বে এটিই ছিল অন্যতম আলোচিত প্রশ্ন। তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির এই স্ট্রাইকারকে দলে ভেড়ানোর বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। আপাতত হালান্ডকে নিয়ে কোনো 'ট্রান্সফার ধামাকা' দেখানোর পরিকল্পনা নেই ক্লাবটির।

রিয়াল মাদ্রিদ বরাবরই বিশ্বসেরা বা ‘গ্যালাকটিকো’ ধাঁচের খেলোয়াড়দের দলে ভেড়াতে পছন্দ করে। সেই হিসেবে হালান্ড সবসময়ই ক্লাবটির রাডারে ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে কিলিয়ান এমবাপ্পের ফর্ম রিয়াল কর্তৃপক্ষকে নতুন করে ভাবাচ্ছে। ক্লাব মনে করছে, আক্রমণভাগে এমবাপ্পে যেভাবে গোল করছেন, তাতে এই মুহূর্তে অন্য কোনো দামী স্ট্রাইকারের প্রয়োজন নেই।

ট্রান্সফার বিশেষজ্ঞ একরেম কোনুর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, "রিয়াল মাদ্রিদ বর্তমানে হালান্ডকে নিয়ে ভাবছে না। ক্লাব মনে করে তাদের আক্রমণভাগের চাহিদা মেটাতে এমবাপ্পেই যথেষ্ট।" রিয়ালের হয়ে এমবাপ্পে এখন পর্যন্ত ৮৩ ম্যাচে ৭৩টি গোল করেছেন, যার মধ্যে চলতি মৌসুমেই ২৪ ম্যাচে এসেছে ২৯ গোল।

২০২২ সালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে বাবার স্মৃতিধন্য ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন হালান্ড। ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে শুরু থেকেই তিনি অপ্রতিরোধ্য। মাত্র ১১১ ম্যাচে ১০০ প্রিমিয়ার লিগ গোলের রেকর্ড গড়া এই স্ট্রাইকার সিটির হয়ে ১৬৯ ম্যাচে ১৪৯ বার জালের দেখা পেয়েছেন।

২০২৫-২৬ মৌসুমেও তার গোলক্ষুধা কমেনি। ক্লাব ও দেশের হয়ে মাত্র ২৮ ম্যাচে এরই মধ্যে ৩৮ গোল করেছেন তিনি। তার একক নৈপুণ্যে নরওয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে। সিটির সাথে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ থাকা হালান্ডকে হাতছাড়া করতে নারাজ ক্লাব কর্তৃপক্ষও। রিয়ালের এই সরে আসার খবরে তাই নিশ্চিতভাবেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ইতিহাদ স্টেডিয়ামের কর্তারা।

এমবাপ্পের সাথে ২০২৯ সাল পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে রিয়ালের। আপাতত দলের নাম্বার নাইন পজিশন নিয়ে রিয়াল কোচ বা ম্যানেজমেন্টের কোনো আক্ষেপ নেই। তবে ফুটবল বিশ্বে চিরস্থায়ী বলে কিছু নেই। এখনই হালান্ডের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব না দিলেও, রিয়াল মাদ্রিদ যে ভবিষ্যতে সুযোগ বুঝে আবারও ঝাঁপাবে না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ফুটবল প্রেমীদের তাই আরও কয়েক বছর অপেক্ষাই করতে হচ্ছে বার্নাব্যুতে ‘হালান্ড-শো’ দেখার জন্য।

সংবাদসূত্রঃ গোল.কম