মিরসরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে ৫ দোকান ও ১২ আবাসিক কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত
- ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩:৪০
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি দোকান ও ১২টি আবাসিক কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাপাহাড় গ্রামের ওমেরা গ্যাস ফ্যাক্টরি এলাকার বিবি মরিয়ম মঞ্জিলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে বিবি মরিয়ম মঞ্জিলে আগুনের সূত্রপাত হলে দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। এতে মীর হোসেনের মা-বাবার দোয়া স্টোর, ইমাম হোসেনের হার্ডওয়্যার, ইয়াছিনের খাদ্যের দোকান, হানিফের ওয়ার্কশপ এবং এনামুল হক সওদাগরের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে এনামুল হক সওদাগরের দোকানে থাকা নগদ ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা পুড়ে গেছে। পাশাপাশি একই ভবনের ১২টি আবাসিক কক্ষ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি পেলো বিএনপি
ভুক্তভোগীদের দাবি, দোকান ও আবাসিক কক্ষ পুড়ে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনের সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ কিংবা ক্ষতিগ্রস্তরা।
এদিকে আগুন নেভানোর সময় মোহাম্মদ বাবু নামে এক যুবক আহত হন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বিবি মরিয়ম মঞ্জিলের মালিক এনামুল হক সওদাগর বলেন, ‘কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা জানা যায়নি। আগুনে তার দোকানে থাকা নগদ ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা পুড়ে গেছে। পাশাপাশি তার ভাড়া দেওয়া পাঁচটি দোকান ও ১২টি আবাসিক কক্ষ পুড়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন তিতাস বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাদের দুটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওয়ার্কশপ অথবা ওয়ার্কশপের পেছনে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।’