স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনা
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ন্যূনতম সুপারিশও মানছে না দেশের দুই তৃতীয়াংশ স্কুল
- টিডিসি রিপোর্ট
- ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৫২
স্কুলগুলোতে স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মানা হচ্ছে না। দেশের মাত্র ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ স্কুলে প্রতি ৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি উন্নত টয়লেটের সুবিধা রয়েছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ন্যূনতম মানদণ্ড। ফলে দুই তৃতীয়াংশ স্কুলই এই মানদণ্ড নিশ্চিতে ব্যর্থ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) নতুন এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএস জানিয়েছে মাত্র ৩৩.৯ শতাংশ স্কুল এবং ৪৫.৪ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান নিরাপদভাবে মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা করে থাকে, যা পরিবেশ দূষণ ও রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, উন্নত পানির উৎসের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ অত্যন্ত সীমিত। যা বিদ্যমান ব্যবস্থার টেকসই হওয়াকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনের অডিটোরিয়ামে রোববার (২১ ডিসেম্বর) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসআইডি সচিব আলেয়া আক্তার। ফলাফল উপস্থাপন করেন ফোকাল পয়েন্ট এসডিজি সেলের মো. আলমগীর হোসেন।
বিবিএস বলছে, জরিপে আটটি বিভাগ এবং ৬৪টি জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বিস্তৃত স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রতিনিধিত্বমূলক তথ্য নিশ্চিত করার জন্য ওয়াটসনের সূত্র অনুসারে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং ২০২৪ সালের ২৬ জুন থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হয়েছিল।
জরিপের ফলাফল বলছে, দেশের শতকরা ৯৫.৪ শতাংশ স্কুলে ও ৮৭.৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নত পানির উৎসে প্রবেশগম্যতার সুবিধা রয়েছে। যা তুলনামূলকভাবে বেশ উচ্চ হার। তবে মৌলিক পানি সেবার সংজ্ঞা অনুযায়ী, যেখানে উন্নত পানির উৎস প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণের ভেতরে থাকতে হয়, এই মানদণ্ড পূরণ করে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। মাত্র ৮৬.১ শতাংশ স্কুল এবং ৭০.৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এই মানদণ্ড পূরণ করে। তবে দেশের মাত্র ৫৫.৪ শতাংশ স্কুলসমূহে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উপযোগী উন্নত পানির পয়েন্টে প্রবেশগম্যতার সুবিধা রয়েছে। অপরদিকে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহে এই হার আরও কম, মাত্র ৪০.৯ শতাংশ।