হাতিরঝিলে বাসা থেকে একই পরিবারের দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

ঢাকা মেডিকেল কলেজ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ © টিডিসি ফটো

রাজধানীর হাতিরঝিলের ওয়ারলেস এলাকায় বাসা থেকে ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো শিশু দুটির নাম-পরিচয় জানা যায়নি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ ওয়ারলেস মোড় ৯১নং এসএইচএস টাওয়ার এর নিচে গ্যারেজে ফ্রিজিং এ্যাম্বুলেন্স থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

আজ রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। 

শিশু দুটির নাম আফরিদা চৌধুরী (১০) ও ইলহাম চৌধুরী (১)। তারা সম্পর্কে আপন ভাইবোন। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার মুঘলটুলি এলাকায়। বর্তমানে ওয়ারলেস মোড়ের ওই বাসায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত তারা। 

এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্তুজা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, একই পরিবারের বাবা-মা সন্তাসহ সবাই অসুস্থ। গতকাল সকালে মেয়ে একটি শিশু মারা যায়। পরে দুপুরে আরেকটি আরেকটি শিশুও মারা যায়। খবর পেয়ে বাস থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুই শিশুর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত হয়েছে। গ্রামের বাড়ী কুমিল্লায় মরদেহগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মৃত্যুর আগে তরুণদের ক্যারিয়ার নিয়ে যে পরিকল্পনার কথা জানান হাদি

হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সুমন মিয়া জানান, খবর পেয়ে শনিবার রাতে ওই বাসার নিচে ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে রাখা শিশু দুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। তবে তাদের শরীরে কোনো রকমের জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। 

তিনি জানান, শিশুদের বাবা মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী গার্মেন্টসের জিএম আর মা সাইদা জাকাওয়াত আরা গৃহিণী। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার মুঘলটুলি এলাকায়। বর্তমানে ওয়ারলেস মোড়ের ওই বাসায় থাকেন। প্রাথমিক তদন্তে স্থানীয়দের এবং পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই শিশু সন্তানসহ তাদের বাবা-মা খাবার খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার সকালে মেয়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় রাসমনো হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শনিবার সকাল ৭টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর পরিবার যখন তার মরদেহ বাসায় নিয়ে আসে এরপর ছেলেটিও বমি করা শুরু করে। অসুস্থ হয়ে পড়া দেখে পরবর্তীতে তাকে মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে শনিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছেলে শিশুটি। 

এসআই বলেন, একই খাবার খেয়ে তাদের বাবা-মাও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তবে তারা চিকিৎসা শেষে সুস্থ আছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাবার বিষক্রিয়ার কারণে শিশু দুটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে ওই খাবার তারা বাসায় রান্না করেছিলেন নাকি বাইরে থেকে কিনে এনেছিলেন তা এখনো জানতে পারিনি। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।