উৎসবমুখর পরিবেশে স্টেট ইউনিভার্সিটির সপ্তম সমাবর্তন শুরু

স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ৭ম সমাবর্তন শুরু
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ৭ম সমাবর্তন শুরু © টিডিসি ফটো

উৎসবমুখর পরিবেশে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এসইউবি) সপ্তম সমাবর্তন শুরু হয়েছে। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, গীতা পাঠ, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। সমাবর্তনের শুরুতে আধিপত্যবাদ বিরোধী যোদ্ধা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

আজ রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় পূর্বাচল নতুন শহরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। 

সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান। 

এর আগে একটি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে সিন্ডিকেট সদস্য, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, শিক্ষক ও গ্র্যাজুয়েটরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করেন।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। 

এছাড়া উপস্থিত রয়েছেন স্টেট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামীম, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নওজিয়া ইয়াসমীনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অ্যালামনাই, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।

আয়োজিত সমাবর্তনে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের মোট ৬৭২ জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর’স গোল্ড মেডেল, চারজন শিক্ষার্থীকে ভাইস-চ্যান্সেলর সিলভার মেডেল এবং ২০ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন। 

দিনব্যাপী সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি) এখন দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে ছয়টি সমাবর্তনে ১৫ হাজারেরও অধিক গ্রাজুয়েট স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালে।