জানাজার নামাজে সব তাকবিরে কি হাত ওঠাতে হয়, কী বলছেন স্কলাররা
- ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৮
জানাজার নামাজে গেলে দেখা যায়, কেউ কেউ জানাজার সব তাকবিরেই হাত উঠান। আবার অনেকে শুধু প্রথম তাকবিরেই হাত উঠান। এটা নিয়ে অনেকেই সন্দেহের মধ্যে থাকে হাত ওঠাতে হবে কি।
জানার মূল বিষয় হল, জানাজার নামাজে সব তাকবিরের সময় হাত ওঠাবেন, নাকি শুধু প্রথম তাকবিরের সময় হাত ওঠাবেন? এর উত্তর হচ্ছে, জানাজার নামাজে শুধু প্রথম তাকবিরেই হাত ওঠাবে। বাকি তাকবিরগুলোতে হাত ওঠাবে না।
ওলীদ ইবনে আবদুল্লাহ যুহরী (রাহ.) বলেন- ‘আমি ইবরাহীম নাখায়ীকে (রাহ.) দেখেছি, তিনি যখন জানাজার নামাজ পড়তেন তখন চার তাকবির বলতেন। প্রথম তাকবিরে হাত ওঠাতেন। এ ছাড়া বাকি তাকবিরগুলোতে হাত ওঠাতেন না।’
দেশের সমসাময়িক ইসলামিক স্কলারদের একজন শায়খ আহমাদুল্লাহ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জানাজার নামাজের প্রতি তাকবিরে হাত তুলবেন কি তুলবেন না, এটা নিয়ে আলেমদের মধ্যে দুই ধরনের মতই আছে। তবে হাত না ওঠানোর মতটা শক্তিশালী আমি এই মতটাই আমল করি। অধিকাংশ আলেমগণ এই মতটাকেই প্রাধান্য দেন।
জানাজার নামাজের বিধান
জানার নামাজ ফরজ কিফায়া। ফরজে কিফায়া হলো সমাজের জন্য আবশ্যকীয় দায়িত্ব। অর্থাৎ কোনো মুসলমানের মৃত্যু হলে মুসলমান সমাজের পক্ষ থেকে অবশ্যই জানাজার নামাজ আদায় করতে হবে। তবে কোনো এলাকা বা গোত্রের পক্ষ থেকে একজন আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে। আর যদি কেউ মৃতব্যক্তির উপর জানাজার নামাজ আদয় না করে, তাহলে ঐ এলাকার সবার উপর ফরজ ছেড়ে দেয়ার গুনাহ হবে।
জানজার নামাজে উপস্থিত হওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত
জানাজার নামাজে উপস্থিত হওয়ার অনেক ফজিলত রয়েছে। একজন মানুষ মারা গেলে মুমিনের জন্য কর্তব্য বিষয় আছে কয়েকটি। নবীজি সা. বলেন, ‘এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের অধিকার পাঁচটি। ১. সালামের উত্তর দেওয়া, ২. অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজখবর নেওয়া, ৩. জানাজার অনুসরণ করা, ৪. দাওয়াত কবুল করা, ৫. হাঁচির উত্তর দেওয়া। (বুখারি ১২৪০)
রাসুলুল্লাহ সা. জানাজার নামাজে উপস্থিত হতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি মৃতের জন্য নামাজ আদায় করা পর্যন্ত জানাজায় উপস্থিত থাকবে, তার জন্য এক কিরাত, আর যে ব্যক্তি মৃতের দাফন হয়ে যাওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে তার জন্য দুই কিরাত। জিজ্ঞাসা করা হলো দুই কিরাত কী? তিনি বললেন, দুটি বিশাল পর্বত সমতুল্য (সওয়াব)।’ (বুখারি ১৩২৫)