একদিন বন্ধ থাকার পর ফের ছাপা হলো প্রথম আলো-ডেইলি স্টার
- ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩০
হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের জেলে প্রকাশনা একদিন বন্ধ থাকার পর আবার প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার। সংবাদপত্রের ছুটি সংক্রান্ত কারণ ছাড়া এবারই প্রথম পত্রিকা দুটির প্রকাশনা বন্ধ ছিল। দ্য ডেইলি স্টার শনিবার ছাপিয়েছে, এক শব্দে শিরোনামে। লিখেছেন, ‘Unbowed’ অর্থাৎ ‘অদমিত’ বা ‘মাথা নোয়াবার নয়’।
খবরে বলা হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর নৃশংস হামলায় গভীর রাতে দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো’র প্রধান কার্যালয়ে সমন্বিতভাবে হামলা চালায় একদল লোক। তারা অফিসগুলোয় ভাঙচুর চালায়, মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে, আগুন ধরিয়ে দেয়। দ্য ডেইলি স্টারের ভেতরে সাংবাদিক ও কর্মীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখে।
২৮ জন সাংবাদিক ছাদে আটকে থাকার কয়েক ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করা হয়। কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে দ্য ডেইলি স্টার’র অফিসে রাত প্রায় ১২টার দিকে হামলাকারীরা জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে। এরপর তারা ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। অফিসের আসবাবপত্র ও কাচের দরজা ভেঙে ফেলে, যন্ত্রপাতি নষ্ট করে এবং জুলাই আন্দোলনের নিহত আবু সাঈদ ও মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ছবি ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে।
যেখানে আন্দোলনের ছবি প্রদর্শিত ছিল, সে ভবনের নিচতলা ও প্রথম তলায় আগুন ধরিয়ে দেয়। নিচতলায় রাখা আসবাবপত্র ও খবরের কাগজের স্তূপে আগুন দেওয়া হয়েছে, পরে তা দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আরেকটি দল ভবনের সামনে রাস্তায় আসবাবপত্র টেনে এনে আগুন জ্বালায়।
আরও পড়ুন: দেশে পৌঁছাল শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ
হামলার কারণে একদিন বিরতি দিয়ে প্রথম আলো আজ পত্রিকা ছাপিয়েছে- প্রধান শিরোনাম ‘প্রথম আলো-ডেইলি স্টার আক্রান্ত’। খবরে বলা হচ্ছে- উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলো প্রথম আলো। হামলার শিকার হয়েছে শীর্ষ ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারও।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে ডেইলি স্টার-এর কার্যালয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে পুড়িয়ে দেওয়া হয় কার্যালয় দুটি। হামলার শুরু হলে প্রথম আলোর সাংবাদিক ও কর্মীরা দ্রুত কার্যালয় ত্যাগ করেন। হামলার কারণে কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ায় শুক্রবারের প্রথম আলো প্রকাশিত হয়নি।
প্রতিষ্ঠার ২৭ বছরে প্রথমবারের মতো ছুটি বাদে এক দিনের জন্য প্রথম আলোর প্রকাশনা বন্ধ থাকল। অনলাইন সংস্করণের কার্যক্রম বন্ধ ছিল প্রায় ১৭ ঘণ্টা। ঢাকার বাইরে কুষ্টিয়া, খুলনা ও সিলেটে পত্রিকাটির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। চট্টগ্রাম, বগুড়া ও বরিশাল কার্যালয়েও হামলার চেষ্টা করা হয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা।