উস্কানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জামায়াত আমিরের
- ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:২৭
উস্কানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সিনিয়র প্রচার-সহকারী মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদি বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদাত বরণ করেছেন। তাঁর এই শহীদি মৃত্যুতে সারা দেশে শোক, ক্ষোভ ও প্রতিবাদের আবহ সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনগণ মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কাছে তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করছে এবং একই সঙ্গে তাঁর জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার বিষয়টি নিয়ে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করছে।’
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ ওসমান হাদীর শাহাদাতের পর দেশের ছাত্র-জনতার মধ্যে যে ক্ষোভ ও আবেগ সৃষ্টি হয়েছে, তা ন্যায্য ও বোধগম্য। কিন্তু এই ক্ষোভকে পুঁজি করে কোনো পক্ষ যদি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে, তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা স্পষ্টভাবে আশঙ্কা প্রকাশ করছি- এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা হতে পারে।’
আরও পড়ুন : ‘নবাব স্যার সলিমুল্লাহ থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদি’
বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ‘গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং জনগণের কণ্ঠস্বর প্রকাশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, গণমাধ্যমের ওপর হামলা মানে গণতান্ত্রিক চর্চা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের ওপর আঘাত।’
তিনি বলেন, ‘যে কোনো ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন শান্তিপুর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। নইলে মূল লক্ষ্য অর্জন ব্যর্থ হতে পারে।শহীদ ওসমান হাদীর হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের এই সংকটময় সময়ে সংযম, দায়িত্বশীলতা ও জাতীয় ঐক্যই হতে পারে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই শহীদদের আত্মত্যাগের যথাযথ মর্যাদা রক্ষা করা সম্ভব। আমরা সকল দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা ও নাগরিককে ধৈর্য, সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’