যবিপ্রবি ব্লাড ব্যাংকের নবীনবরণ ও সেরা সদস্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

যবিপ্রবির স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ গ্যালারিতে নবীনবরণ ও সেরা সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়
যবিপ্রবির স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ গ্যালারিতে নবীনবরণ ও সেরা সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় © টিডিসি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যবিপ্রবি ব্লাড ব্যাংকের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন সদস্যদের বরণ ও বর্ষসেরা সদস্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ৫০ নবীন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয় এবং সংগঠনের মানবিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৫ জন সদস্যকে ‘অ্যাকটিভ মেম্বার অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে বই ও ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়। 

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটায় যবিপ্রবির স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ গ্যালারিতে নবীনবরণ ও সেরা সদস্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্লাড ব্যাংকের সদস্য ফারহান সাদিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাফিউল হাসান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দ্বীপক কুমার মণ্ডল, আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মো. ফরহাদ বুলবুল, পিটিআর বিভাগের প্রভাষক ড. কাজী মো. এমরান হোসেন, ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মুর্তজা বশির।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাফিউল হাসান বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যবিপ্রবি ব্লাড ব্যাংক সব সময় নিরলসভাবে কাজ করে। তাদের কোনো দিন-রাত নেই, নির্দিষ্ট কোনো মৌসুম নেই। মানুষের জীবনকে দীর্ঘজীবি করার জন্য এই ক্লাব কাজ করে। অন্যান্য ক্লাবের মতো দু-এক মাস এই ক্লাব বন্ধ থাকলে অনেক বড় সমস্যা হয়ে যাবে।’

নবীনদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তোমাদের নিয়ত, চেষ্টা আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই কবুল করবেন। যারা রক্ত দিয়ে এবং রক্ত ম্যানেজ করে দিচ্ছে তারা সবাই সমান সওয়াবের অধিকারী হবে।’

ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘রক্তদান শুধু একটি সেবা নয়, এটি মানবতার ভাষা। নিঃস্বার্থতা, সততা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করলে যবিপ্রবি ব্লাড ব্যাংক সব সময় মানুষের পাশে থাকবে। একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হতাশ না হয়ে, কোনো প্রত্যাশা ছাড়াই নিজের ভালো লাগা ও সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে কাজ করে যেতে হবে। সময় ও কমিটমেন্টের প্রতি সচেতন থেকে মানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকলে, তোমাদের হাত ধরেই যবিপ্রবি ব্লাড ব্যাংক যশোর পেরিয়ে সারা দেশে আলো ছড়াবে। তোমরা যারা আছ ব্লাড ব্যাংকে, তোমরা কাজ চালিয়ে যাও, আমরা আমাদের জায়গা থেকে যতটুকু পারা যায় সাহায্য করে যাব।’