ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না এই ৭ খাবার
- ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪০
প্রতিদিন বাজারে যাওয়া সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই অনেকেই একদিনেই সপ্তাহের বাজার সেরে এনে ফ্রিজে ভরে রাখেন। সবজি, মাছ, মাংস—সব কিছুই যেন ফ্রিজেই বেশি দিন ভালো থাকবে, এমন ধারণা আমাদের অনেকের। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সব খাবার ফ্রিজে রাখার জন্য উপযোগী নয়। বরং কিছু খাবার ফ্রিজে রাখলে তাদের স্বাদ ও গুণগত মান দুটোই নষ্ট হয়ে যায়। জেনে নিন, বাজার থেকে এনে কোন কোন খাবার ভুলেও ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
পাউরুটি: অনেকেই পাউরুটিতে ছত্রাক পড়া ঠেকাতে প্যাকেটসহ ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু ফ্রিজে রাখলে যেকোনো খাবারই শুষ্ক হয়ে যায়। পাউরুটি বা কেকজাতীয় খাবার ফ্রিজে রাখলে অতিরিক্ত শুকিয়ে যায় এবং স্বাদও নষ্ট হয়।
আলু: আলু প্রায় সব ঘরেই ব্যবহৃত একটি জনপ্রিয় সবজি। সেদ্ধ, ভাজা বা ম্যাশ—যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন, আলু ফ্রিজে রাখার উপযোগী নয়। ঠান্ডা তাপমাত্রায় আলুর স্টার্চ দ্রুত চিনিতে পরিণত হয়, ফলে রান্নার আগেই তা শক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই আলু রান্নাঘরের শুষ্ক ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার জায়গায় সংরক্ষণ করাই সবচেয়ে ভালো।
কলা: ফ্রিজের ঠান্ডা কলার জন্য মোটেও উপযোগী নয়। বরং ঠান্ডা পরিবেশ কলার খোসা দ্রুত কালো করে দেয়। কলা কেনার সময় সম্পূর্ণ পাকা হওয়ার আগেই কিনে ঘরের তাপমাত্রায় স্বাভাবিকভাবে পাকতে দেওয়া ভালো। এতে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দুটিই বজায় থাকে।
পেঁয়াজ: পেঁয়াজ ও আলু পাশাপাশি রাখলে দুটিই দ্রুত নষ্ট হতে পারে। তাই এগুলো আলাদা জায়গায় সংরক্ষণ করা উচিত। পেঁয়াজ ফ্রিজে না রেখে খোলা, শুকনো ও বাতাস চলাচল আছে—এমন জায়গায় রাখলে দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
কফি: কফি সতেজ রাখতে শুষ্ক পরিবেশ ও সঠিক বায়ু চলাচল প্রয়োজন। ফ্রিজে আর্দ্রতা বেশি থাকে এবং অন্য খাবারের গন্ধ সহজেই কফিতে লেগে যায়। ফলে কফির স্বাদ ও সুবাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই কফি ফ্রিজে রাখাই ঠিক নয়।
মধু: গরমে মধুর শিশিতে পিঁপড়া ঢুকে পড়ার ভয়ে অনেকেই মধু ফ্রিজে রাখেন। কিন্তু এতে মধুর স্বাদ ও গুণগত মান বদলে যেতে পারে। এর বদলে একটি পাত্রে পানি নিয়ে তার মধ্যে মধুর শিশি বসিয়ে রাখলে পিঁপড়ার ঝামেলা এড়ানো যায়।
রসুন: ফ্রিজে রাখলে রসুনের স্বাদ ও গন্ধ দুটোই পরিবর্তিত হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ফ্রিজে থাকলে রসুনে ছত্রাকও ধরতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই রসুন সবসময় শুকনো ও বাতাস চলাচল আছে—এমন জায়গায় রাখা উচিত।