নিরাপত্তা কর্মীর সংকটে বন্ধ পাবিপ্রবির দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফটক, ভোগান্তি

পাবিপ্রবি লোগো ও ফটক
পাবিপ্রবি লোগো ও ফটক © সংগৃহীত

নিরাপত্তা কর্মীর অভাবে দীর্ঘদিন কাজ শেষ হলেও বন্ধ রয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফটক। প্রধান ফটকসহ মোট তিনটি প্রবেশপথ থাকলেও বর্তমানে শুধুমাত্র প্রধান ফটকটি চালু রয়েছে। এর ফলে বিশেষ করে আবাসিক শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পশ্চিম ও পূর্ব পাশে অবস্থিত দুইটি গেট দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। গেট দুটি চালু না থাকায় শিক্ষার্থীদের মূল ফটক দিয়েই ঘুরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও বের হতে হচ্ছে। এতে সময় যেমন বেশি লাগছে, তেমনি বাড়তি ভোগান্তির মুখে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ক্যাম্পাসে আনসার সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৬৩ জন। এই সীমিত সংখ্যক আনসার সদস্যকে বিভিন্ন শিফটে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী না থাকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফটক চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জুলাই ৬ হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পশ্চিম পাশের গেটটি চালু থাকলে আমরা খুব সহজেই মূল সড়কে যেতে পারতাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেও অনেক সুবিধা হতো। এখন মূল ফটক দিয়ে ঘুরে বাজার করতে হয়, বিশেষ করে রাতে যা অনেক সময় নেয় এবং কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।’

আরও পড়ুন: শূন্য পদের সঠিকতা যাচাই শেষ হয়নি, ৭ম গণবিজ্ঞপ্তি কবে?

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে প্রশাসন যদি পশ্চিম পাশের গেটটি ছেলেদের জন্য এবং পূর্ব পাশের গেটটি মেয়েদের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করে, তাহলে আমাদের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) এম এম হাসিবুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে ক্যাম্পাসে মোট ৬৩ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এই সীমিত জনবল দিয়ে পুরো ক্যাম্পাসে বিভিন্ন শিফটে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে আনসার সদস্যের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে অব্যবহৃত বাকি দুইটি গেট চালু করার বিষয়টি প্রশাসন গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কয়েকটি ভবন চালু হওয়ায় বর্তমানে প্রায় সব জায়গাতেই অতিরিক্ত গার্ড ম্যানের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি আনসার সদস্যের সংকটও রয়েছে। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণেই আপাতত দুইটি গেট খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দুই পাশের গেট দ্রুত চালু করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’