‘১১ পেশায় যুক্ত হতে পারবে না এমপিও শিক্ষকরা’ সংক্রান্ত আলোচিত সেই নোটিশ প্রত্যাহার
- ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:২১
বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ‘মসজিদের ইমামতি, দোকান পরিচালনাসহ ১১টি পেশায় যুক্ত হতে পারবেন না’ সংক্রান্ত আলোচিত সেই নোটিশটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট নোটিশের জন্য দুঃখও প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা।
এতে বলা হয়, ‘১৪/১২/২০২৫ ইং তারিখের স্মারক নং–উমাশি/বৃত্তি/২০২৫/৩২৪ পত্রটি প্রত্যাহার করা হলো এবং পত্রটি প্রকাশে অনিকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
এর আগে সংশ্লিষ্ট মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেছিলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে ১১টি পেশা উল্লেখ করে আমাদের একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই চিঠির বিষয়টি আমরা নোটিশ আকারে স্কুল-কলেজগুলোতে পাঠিয়েছি। নির্দেশনা অমান্য করলে এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ‘বর্তমান বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২৫ এর আলোকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ একটি সম্মানজনক ও পূর্ণকালীন রাষ্ট্রীয় আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত পেশায় নিযুক্ত। এমতাবস্থায় তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব ও সময়ের পূর্ণ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষকতার পাশাপশি কোন অতিরিক্ত লাভজনক পেশায় সম্পৃক্ত হওয়া নীতিগতভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
নিষিদ্ধ ও সীমাবদ্ধ পেশাগুলো হলো- সাংবাদিকতা (বানিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত); আইন পেশা (যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আদালত উভয়ই একই সময়ে চলে); কোচিং সেন্টার পরিচালনা বা এতে শিক্ষকতা; প্রাইভেট/কেজি স্কুল পরিচালনা; শিক্ষাবিষয়ক প্রকাশনা বা পাবলিকেশন্স বানিজ্যে অংশগ্রহণ; হজ্ব এজেন্ট বা এর মার্কেটিং কার্যক্রম; বিয়ের কাজী বা ঘটকালী পেশা; টং দোকান বা ক্ষুদ্র ব্যবসা; ঠিকাদারি বা নির্মাণ ব্যবসা; মসজিদের পূর্ণকালীন ইমামত বা খতিবের দায়িত্ব পালন ( যা শিক্ষকতার সময়কে প্রভাবিত করে) এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিশেষ সহকারী/চাটুকার হিসেবে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না।
তবে পত্রটি প্রকাশের জন্য এটি নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনা শুরু হওয়ায় আজ তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।