এমপিও শিক্ষকদের ১১ পেশায় যুক্ত হওয়া মানা, যা বললেন অধ্যক্ষ আজিজী
- ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:৫১
বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মসজিদের ইমামতি, দোকান পরিচালনাসহ ১১টি পেশায় যুক্ত হতে পারবেন না বলে নির্দেশনা জারি করেছে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। এই নির্দেশনার প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অধ্যক্ষ আজিজী জানান, ‘১২৫০০ টাকা বেতন দিয়ে শিক্ষকরা কিভাবে সংসার চালাবে? এই নিপীড়নমূলক নির্দেশনার চিঠি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ব্যত্যয় হলে ৬ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী আবার প্রেসক্লাবে আসবে।’
এর আগে গত রবিবার কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, ‘বর্তমান বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২৫ এর আলোকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ একটি সম্মানজনক ও পূর্ণকালীন রাষ্ট্রীয় আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত পেশায় নিযুক্ত। এমতাবস্থায় তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব ও সময়ের পূর্ণ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষকতার পাশাপশি কোন অতিরিক্ত লাভজনক পেশায় সম্পৃক্ত হওয়া নীতিগতভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
নিষিদ্ধ ও সীমাবদ্ধ পেশাগুলো হলো- সাংবাদিকতা (বানিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত); আইন পেশা (যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আদালত উভয়ই একই সময়ে চলে); কোচিং সেন্টার পরিচালনা বা এতে শিক্ষকতা; প্রাইভেট/কেজি স্কুল পরিচালনা; শিক্ষাবিষয়ক প্রকাশনা বা পাবলিকেশন্স বানিজ্যে অংশগ্রহণ; হজ্ব এজেন্ট বা এর মার্কেটিং কার্যক্রম; বিয়ের কাজী বা ঘটকালী পেশা; টং দোকান বা ক্ষুদ্র ব্যবসা; ঠিকাদারি বা নির্মাণ ব্যবসা; মসজিদের পূর্ণকালীন ইমামত বা খতিবের দায়িত্ব পালন ( যা শিক্ষকতার সময়কে প্রভাবিত করে) এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিশেষ সহকারী/চাটুকার হিসেবে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কোনো শিক্ষক যদি স্বেচ্ছাশ্রমে ধর্মীয় বা সামাজিক কাজে যুক্ত থাকেন তা অবশ্যই নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকতে হবে যাতে মূল পেশাগত দায়িত্বে কোনে ব্যাঘাত না ঘটে।’