ইবিতে বিজয় দিবসের বিশেষ খাবারের টোকেন জালিয়াতি

শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারে টোকেন জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে
শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারে টোকেন জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হল প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারে (হল ফিস্ট) টোকেন জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। নকল টোকেন দেখিয়ে কয়েকজন খাবার নিয়ে যাওয়ায় খাবার বিতরণে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গাজী মো. আরিফুজ্জামান।

জানা গেছে, হল প্রশাসনের উদ্যোগে বানানো টোকেনের মত হুবহু প্রিন্ট করা নকল টোকেন দেখিয়ে খাবার নিয়ে গেছে কয়েকজন অজ্ঞাত শিক্ষার্থী। আসল ও নকল টোকেনের পার্থক্য তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে না পারায় খাবার বিতরণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরাও খাবার দিয়ে দেন৷ কিছুক্ষণ পরেও মূলত জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। দুই টোকেনের পার্থক্য সহজে বোঝা না যাওয়ায় মূলত বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়। ফলে টোকেন থাকা সত্ত্বেও কয়েকজন শিক্ষার্থী খাবার না পেয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। পরে অতিরিক্ত খাবার থেকে প্যাকেট করে তাদের সরবরাহ করা হয়।

দায়িত্বরতরা জানান, নিয়ম মেনেই খাবার বিতরণ করা হচ্ছিল। তবে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে আসায় দীর্ঘ লাইন ও ভিড় তৈরি হয়। এ সুযোগে কেউ কেউ দুই, তিন কিংবা পাঁচটি টোকেন দেখিয়ে খাবার নেন। এর মধ্যেই কয়েকজন নকল টোকেন ব্যবহার করে খাবার নিয়ে গেছেন বলে ধারণা করছেন তারা।

এ বিষয়ে লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গাজী মো. আরিফুজ্জামান বলেন, টোকেন বিক্রির সংখ্যার তুলনায় আমাদের কয়েক প্যাকেট বেশি খাবারের ব্যবস্থা করা ছিল। মোট ৯০০ প্যাকেট খাবার প্রস্তুত করা হলেও টোকেন গণনায় বিক্রি হয়েছে ৮০০টি। খাবার বিতরণের সময় সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও প্যাকেট শেষ হওয়ার পরও শিক্ষার্থীরা খাবার নিতে আসায় বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হয়। পরে কর্মরতরা কয়েকটি নকল টোকেন উদ্ধার করেন, যা মূল হল টোকেনের অনুরূপ প্রিন্ট কপি।

তিনি আরও জানান, সাময়িকভাবে খাবারের ঘাটতি দেখা দিলেও অতিরিক্ত রান্না করা ছিল। দু-একটি আইটেম কম পড়তে পারে, তবে সবাই খাবার পেয়েছেন। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।