রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রার্থীদের অস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা জারি

বাংলাদেশ সরকারের লোগো
বাংলাদেশ সরকারের লোগো © টিডিসি ফটো

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ও সশস্ত্র রক্ষী (রিটেইনার) নিয়োগে একটি নীতিমালা জারি করেছে সরকার।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা–২০২৫’ শিরোনামে এ নীতিমালা প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

নির্বাচনকালীন সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন রোধ এবং রাজনৈতিক প্রভাব ও ব্যক্তিগত সশস্ত্র বাহিনী গঠন প্রতিরোধ এই নীতিমালার উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, প্রকৃত নিরাপত্তা ঝুঁকির ভিত্তিতে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান ও সশস্ত্র রক্ষী নিয়োগ অনুমোদন এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও আইনের শাসন নিশ্চিত করাও এই নীতিমালার উদ্দেশ্য। 

নীতিমালার আওতায় প্রদত্ত লাইসেন্স নির্বাচন ফলাফল ঘোষণার দিন থেকে পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত বৈধ থাকবে। নির্ধারিত সময় শেষে লাইসেন্সটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। তবে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স–সংক্রান্ত নীতিমালার অন্যান্য শর্ত পূরণ হলে মন্ত্রণালয় এ সাময়িক লাইসেন্সকে সাধারণ লাইসেন্সে রূপান্তর করতে পারে।

আরও পড়ুন: হাদিকে গুলি: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

এতে আরও বলা হয়েছে, প্রকৃত নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকলেই কেবল রিটেইনার নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হবে।

কোনো রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা প্রার্থী লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য হলেও যদি আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে অক্ষম হন বা আগ্রহী না হন, তবে তিনি আইনসম্মত লাইসেন্সধারী ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে সক্ষম একজন রিটেইনার নিয়োগ দিতে পারবেন। এ ধরনের নিয়োগ লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে হবে।

রিটেইনার হওয়ার যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশি নাগরিক হওয়া, ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর, কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড না থাকা ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকা এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হওয়া। অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী বা বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

নীতিমালায় বলা আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা প্রার্থীর জন্য সর্বোচ্চ একজন রিটেইনার নিয়োগ দেওয়া যাবে এবং নির্ধারিত সময় শেষে রিটেইনারের নিয়োগের মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। রিটেইনারের নামে কোনো আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হবে না। রিটেইনার কেবল আগ্নেয়াস্ত্র বহন করবেন এবং আগ্নেয়াস্ত্র–সংক্রান্ত সব দায়দায়িত্ব লাইসেন্সধারীর ওপর বর্তাবে।

এতে আরও বলা হয়, লাইসেন্সধারীদের আগ্নেয়াস্ত্র বহনের সময় লাইসেন্স ও অনুমোদনপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কাউকে ভয়ভীতি প্রদর্শন বা হয়রানি করা যাবে না এবং নিরাপত্তা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করা যাবে না।

একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক জারি করা যেকোনো নির্দেশনা লাইসেন্সধারীদের তাৎক্ষণিকভাবে পালন করতে হবে।