‘আমি মারা গেলে আপনারা এমন একটা সমাবেশ করবেন’— আম্মারকে আবেগি হাসনাত

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সালাহ উদ্দীন আম্মার
হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সালাহ উদ্দীন আম্মার © সংগৃহীত

জুলাইয় গণঅভ্যুত্থানের পরিচিত মুখ, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহ উদ্দীন আম্মার।

সমাবেশে আম্মারের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর। এ সময় আবেগি মন্তব্য করেন হাসনাত। বলেন, আমি মারা গেলে আপনারা এমন একটা সমাবেশ করবেন। পরে সালাহ উদ্দীন আম্মার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এই ঘটনা শেয়ার করেছেন।

পোস্টে সালাহ উদ্দীন আম্মার লিখেছেন, ‘আজকে হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাই আমার মনের কথা বলেছে— আমি মারা গেলে আপনারা এমন একটা সমাবেশ করবেন পরে আবার সিট নিয়ে নেগোসিয়েশন করবেন।’

তিনি লিখেছেন, ‘এদেশে হাদিরা জন্মানো পাপ। হাদিভাই বেচে থাকতে কতজন মূল্যায়ন করেছেন? মানুষটা একাই আজাদীর লড়াই করে গেল।
দিনশেষে হাদিভাই কে নিয়ে আমার হিংসা হয়! আপনারা জুলাই আমার, জুলাই আমার করে নোংরামি, টকশো, অনলাইনে কাদা ছোড়াছুড়ি করেছেন। আর দেখেন, নিরবে একটা মানুষ আপনাদের ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠল।’

সালাহ উদ্দীন আম্মার আরও লেখেন, ‘মূল্যহীন মানুষটার জন্য আজ সবাই মতপার্থক্য ভুলে শহীদ মিনারের সিড়িতে বসে গেলেন, কারো কোনো অভিমান নেই, কে আগে বক্তব্য দিচ্ছে আর কে পরে বক্তব্য দিচ্ছে এগুলো নিয়ে কারো অভিযোগ নেই।’

সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘আজ আব্দুল্লাহ আল জাবের (ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব) ভাই বারবার ঘোষণা দিচ্ছিল, জামায়াতের কর্মী মিয়া গোলাম পরওয়ার, এনসিপির কর্মী সারজিস আলম, ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী রাশেদ ভাই। এটা আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লেগেছে। আজ সবাই কর্মী, আর নেতা শুধু আমাদের ওসমান।’

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের শাহাদাতের পর নিজ জীবনে ভারতবিদ্বেষ শুরু হয়েছিল উল্লেখ করে আম্মার লিখেছেন, ‘সেই যুদ্ধ আজ আরও দৃঢ় হলো। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আজাদীর লড়াই চলবে।’