হাদি হত্যাচেষ্টায় জড়িত হান্নান পেশায় ‘কন্ট্রাক্টর’, গ্রেপ্তারে বিস্মিত এলাকাবাসী
- ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:২৭
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক হিসেবে (রাজমিস্ত্রি কন্ডাক্টর) মো. আব্দুল হান্নানের (৪৩) গ্রেপ্তারের খবরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সৃষ্টি হয়েছে চরম বিস্ময়। ঢাকায় হান্নান গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তার গ্রামের বাড়ি সুন্দরপুর ইউনিয়নে হতবাক প্রতিক্রিয়া জানান এলাকাবাসী, যারা তাকে এত দিন সহজ-সরল একজন মানুষ হিসেবেই চিনে আসছিলেন।
জানা যায়, অনেক আগেই হান্নানের বাবার সঙ্গে তার মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর থেকেই সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা এলাকার মধ্যপাড়া এলাকার নানার বাড়িতে হান্নান ও তার ছোট ভাই সোহেলকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন তার মা মোসা. ফুরকোন। ফুরকোন বেগম এলাকায় কাজ করে দুই ছেলেকে বড় করেন। হান্নান ও তার ভাই সোহেল এলাকাতেই আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। পরে ঢাকায় গিয়ে রাজমিস্ত্রির কন্ডাক্টরের কাজ করেন এবং পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। মাঝেমধ্যে অথবা দুই ঈদে বাড়িতে আসেন হান্নান। কিছুদিন আগে মায়ের চোখের অপারেশন করার জন্য ঢাকায় নিয়ে যান এবং এর পর থেকে হান্নানের মাও ঢাকায় বসবাস করছেন।
সুন্দরপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়াডের ইউপি সদস্য মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘হান্নান কন্ডাক্টরি করে ঢাকাতে। আজ থেকে ১০ থেকে ১৫ বছর আগে থেকেই ঢাকাতে থাকে সে। ছেলের তো আমরা তো কোনো দোষ দেখতে পাই না। বছরে দুই বা তিনবার গ্রামে আসে। সে ও তার পরিবার কোনো দলের সঙ্গে জড়িত নয়।’
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা যে ঘটনাটি শুনছি, তাতে আমরা রীতিমতো হতবাক। সে সহজ-সরল ছেলে। সে কোনো মোটরসাইকেলের ব্যবসাও করত না। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাচ্ছি।’
হান্নানের নিকট আত্মীয় শওকতারা বলেন, ‘ছোট থেকেই আমাদের কাছে বড় হয়েছে তারা দুই ভাই। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো খারাপ আচরণ আমরা লক্ষ করিনি। হঠাৎ তার গ্রেপ্তারের কথা শুনে আমরা হতবাক হয়েছি।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. একরামুল হক বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি। তার বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’