হাদিকে গুলি বর্ষণকারী ফয়সালকে গ্রামের কেউই চেনেন না
- ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:৪১
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফুল ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় সম্পৃক্ত হিসেবে শনাক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ বিন ফয়সাল নামের অভিযুক্তের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নে। তিনি হুমায়ুন কবির ও হাসি বেগম দম্পতির ছেলে। তার আরও দুই ভাই রয়েছে।
তার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি কখনোই গ্রামে আসেননি। এমনকি স্থানীয় কেউই তাকে চেনেন না। তার বাবা হুমায়ুন কবির ওরফে মালেক প্রায় চার যুগ আগে বসতভিটা বিক্রি করে ঢাকায় চলে যান। স্বজনদের মৃত্যুর খবরেও তারা কখনো বাড়িতে আসেননি। বাড়ির লোকজনের ধারণা, তারা ঢাকায় ব্যবসা করতেন।
তারা জানান, ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা মো. হুমায়ুন কবির এলাকায় ‘আবদুল মালেক মুন্সি’ নামে পরিচিত ছিলেন। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে সেজো হলেন হুমায়ুন কবির। তিনি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। প্রায় ৩৫ বছর আগে ঢাকায় চলে যান। হুমায়ুন কবিরের বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন মুন্সি ও মা রাজু বিবি মারা যাওয়ার পরেও এলাকায় আসেননি ফয়সালের পরিবার। বাবা ও মা মৃত্যুর পর প্রায় ১০ বছর আগে একবারই বাউফলে এসেছিলেন হুমায়ুন কবির। তখন পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সাড়ে ছয় শতাংশ জমি তিনি তার চার ভাইয়ের কাছে বিক্রি করে চলে যান। তখনও বাড়িতে যাননি।
হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই মো. সেলিম মুন্সির স্ত্রী মোছা. মিনারা বেগম (৬০) বলেন, হুমায়ুনের তিন ছেলে আছে। কিন্তু তাদেরকে তিনি কোনোদিন দেখেননি। তাদের (মিনারা) সঙ্গে ওই পরিবারের (হুমায়ুন কবির) কারো যোগাযোগ নেই। এমনকি বাবা, মা ও বড় ভাই মারা যাওয়ার পরেও বাড়িতে আসেননি হুমায়ুন কবির ও স্ত্রী, সন্তানেরা। তিনি যেটুকু জমি পেয়েছিলেন তা বিক্রি করে দিয়েছেন।
বাউফল থানার পরিদর্শক মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন শনাক্ত একজন হলেন বাউফেল উপজেলার। এ বার্তা পাওয়ার পর আমরা সরেজমিনে সন্দেহভাজনের বাড়িতে গিয়েছিলাম কিন্তু ওই ব্যক্তি ও তার পরিবারের লোকজন এলাকায় আসেন না। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঢাকায় থাকেন।
উল্লেখ্য, ফয়সালের বিরুদ্ধে ঢাকার আদাবর থানায় অস্ত্র আইনের ১৯/১৯(ক) ধারায় একটি মামলা রয়েছে। মামলা নম্বর-০৭, তারিখ ০৮ নভেম্বর ২০২৪। ওই মামলায় ফয়সাল করিম মাসুদ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করেন। জামিন শুনানিতে তার পক্ষে অংশ নেন অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট মো. মাহফুজুর রহমান। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।