বুদ্ধিজীবী কিংবা টকশোজীবী— কোনো ফর্মেই ভারতীয়  আধিপত্য বাংলাদেশে ঢুকতে পারবে না

শাহবাগে বিক্ষুদ্ধ নাগরিক সমাবেশ ও গণ প্রতিরোধ সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
শাহবাগে বিক্ষুদ্ধ নাগরিক সমাবেশ ও গণ প্রতিরোধ সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ © ভিডিও থেকে নেওয়া

বুদ্ধিজীবী কিংবা টকশোজীবী কোনো ফর্মেই ভারতীয় আধিপত্য বাংলাদেশে ঢুকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। আজ আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষুদ্ধ নাগরিক সমাবেশ ও গণ প্রতিরোধ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলির প্রতিবাদে সমাবেশের করে সংগঠনটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। 

অনুষ্ঠানে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গুলি ওসমান হাদির মাথার ভেতর দিয়ে যায়নি, গুলিটি বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের বিবেক দিয়ে গেছে। আমরা এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সবাই পরকিয়া করি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এসে তারা মিছিল-মিটিং করে। গত ১৭ বছর যারা আওয়ামী লীগের সেবা নিছে আওয়ামী লীগের নামে। সে এখন টকশোর বুদ্ধিজীবী, নাট্যকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী। ফ্যাসিস্টদের বাংলাদেশে কোনো জায়গা হবে না, সে যে নামেই থাকুক না কেন। গুলশানে জাতীয় পার্টির নামে এই কুলাঙ্গাররা আবার ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। ওসমান হাদি ভাইয়ের রক্তের সময় ওদের আর বাংলাদেশে এক ইঞ্চিও জায়গাও দেওয়া হবে না। 

তিনি বলেন, আমার হাদি ভাইয়ের রক্তের শপথ, বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য কোনো ফর্মেই ডুকতে পারবে না। সেটা যে নামেই হোক। তা বুদ্ধিজীবী, টকশোজীবী বা কোনো ইনন্সটিটিউটের মাধ্যমে আর ডুকতে পারবে না। আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আপনা ডান, বাম যে পন্থিই হোন না কেন, আমরা এখানে যারা আছি সবাই বাংলাদেশপন্থি।

উল্লেখ্য, ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি নির্বাচনি প্রচারণাকালে রাজধানীতে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। অপারেশন শেষে এদিন তাকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।