আচরণবিধি মানতে নিজ হাতে নিজের পোস্টার ছিড়ছেন শিশির মনির

শিশির মনির
শিশির মনির © টিডিসি সম্পাদিত

সুনামগঞ্জ-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষায় নিজ হাতে নিজস্ব পোস্টার অপসারণ করছেন। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। যেখানে দেখা যায়, সড়কে টাঙানো নিজের প্রচারপোস্টার ছিঁড়ে ফেলছেন।

ভিডিওবার্তায় শিশির মনির বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, গতকাল থেকেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আলোকসজ্জাসহ সব ধরনের প্রচারসামগ্রী বন্ধ করারও নির্দেশ রয়েছে। এসব অপসারণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদেরই পালন করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু এটি রাষ্ট্রের আইন এবং নতুনভাবে নির্বাচনের আয়োজন হচ্ছে, তাই আমরা নিজেরাই আমাদের পোস্টার ও ফেস্টুনগুলো সরিয়ে দিচ্ছি। শুধু এখানে নয়, দুই থানার যেসব এলাকায় আমাদের পোস্টার টাঙানো হয়েছে, সব জায়গা থেকেই নিজ দায়িত্বে সেগুলো নামিয়ে ফেলছি।’

শিশির মনির বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি মানা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমরা নিজেদের আচরণবিধি না মানলে অন্যকে উপদেশ দিয়ে কোনো লাভ নেই। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আজ এই অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলাম। যদিও আমাদের হাতে এখনও ৪৮ ঘণ্টা সময় আছে, তারপরও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কাজ করছি। আগামী নির্বাচন যেন আইন মেনে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রত্যাশায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি।’

এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সকল ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশনা দেয়।

এতে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থী/ব্যক্তিদের তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। 

এ লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। 

এদিকে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, নির্দেশনা মোতাবেক ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আগাম প্রচার সামগ্রী অপসারণ করতে হবে সংশ্লিষ্টদের। অন্যথায় নির্বাচনী আচরণবিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।