ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের আত্মীয়সহ ৬ জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্প প্রশাসনের

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের আত্মীয়সহ ৬ জাহাজের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের আত্মীয়সহ ৬ জাহাজের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা © টিডিসি ফটো

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহল আবারও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখে। ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মাদুরোর তিন ভাগ্নে—ফ্র্যাঙ্কিউ ফ্লোরেস, কার্লোস ফ্লোরেস ও ইফরাইন ক্যাম্পো—এছাড়া মাদুরোর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, পানামার নাগরিক রামন ক্যারেতেরোর বিরুদ্ধে। একই আদেশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ছয়টি কোম্পানি এবং ভেনেজুয়েলার পতাকাবাহী ছয়টি জাহাজ।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ ভেনেজুয়েলার জ্বালানি তেলের বাণিজ্য ও পরিবহন খাতে অনিয়ম ও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এসব নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। এর মাত্র এক দিন আগে ভেনেজুয়েলার উপকূল থেকে দেশটির পতাকাবাহী একটি ট্যাংকার জাহাজও জব্দ করা হয়েছিল।

নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না, কোনো সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না এবং মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারত্বও গড়তে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের যেসব সম্পদ রয়েছে—নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সেগুলো ‘ফ্রিজড’ অবস্থায় থাকবে।

ট্রেজারি মন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নিকোলাস মাদুরো এবং তার অপরাধী সহযোগীরা যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের বন্যা বইয়ে দিয়েছে এবং আমাদের নাগরিকদের জীবনকে বিপন্ন করেছে।’

মাদুরো পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের পদক্ষেপ নতুন নয়। কার্লোস ফ্লোরেস ও ইফরাইন ক্যাম্পো—মাদুরোর এই দুই ভাগ্নে—মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক বছর কারাবন্দি ছিলেন। ২০২২ সালের অক্টোবরে সাত মার্কিন নাগরিককে মুক্তির বিনিময়ে তাদের দুই জনকে মুক্তি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।