যশোর শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসিতে মেধা বৃত্তি পেল ৯৪৬ শিক্ষার্থী
- ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪৬
যশোর শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসিতে মেধা বৃত্তি পেয়েছে ৯৪৬ শিক্ষার্থী।এবারের বৃত্তির ফলাফলের শীর্ষে খুলনা সরকারি এমএম সিটি কলেজ । পরের স্থানে রয়েছে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ। বোর্ডের সচিব প্রফেসর এসএম মাহাবুবুল ইসলাম সাক্ষরিত ফলাফল শীটের মাধ্যমে তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেয়া ফলাফল শীটে উল্লেখ করা হয়েছে এবছর এইচএসসি পরীক্ষার মেধা তালিকার ভিত্তিতে বৃত্তির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বৃত্তি পেয়েছে ৯৪৬ শিক্ষার্থী । এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ১০৬ ও সাধারণ গ্রেডে ৮৪০ । বৃত্তির ফলাফলে শীর্ষে খুলনা সরকারি এমএম সিটি কলেজ। এর পরের স্থানে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ।
খুলনা সরকারি এমএম সিটি কলেজ থেকে ২০০ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ২৪ ও সাধারণ গ্রেডে ১৭৬ শিক্ষার্থী । যশোর সরকারি মাইকেল মধূসূদন কলেজ থেকে বৃত্তি পেয়েছে ১১৫ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ১৩ ও সাধারণ গ্রেডে ১০২ শিক্ষার্থী।
এছাড়া ঝিনাইদহ ক্যডেট কলেজ থেকে বৃত্তি পেয়েছে ৩১ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ১৬ ও সাধারণ গ্রেডে ১৫ শিক্ষার্থী। যশোর সরকারি সিটি কলেজ থেকে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে ২০ শিক্ষার্থী, বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে ৩ শিক্ষার্থী।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপাপ্তরা মাসিক হারে ৮৫২ টাকা করে ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা ৩৭৫ টাকা করে অনুদান পাবে। বৃত্তির গেজেটের শিক্ষার্থী যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে সেই প্রতিষ্ঠানের নাম থাকবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানের সার্টিফিকেট প্রদান সাপেক্ষে ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা উত্তোলন করবে। এরপর বৃত্তির তালিকা প্রণয়নে কোন প্রকার সমস্যা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণ করতে হবে। সকল বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী অবশ্যই বিনাবেতনে লেখাপড়া করার সুযোগ পাবে।
সরকারি অনুমোদিত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর নিকট থেকে মাসিক বেতন দাবি করতে পারবে না। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মাসিক বেতন দাবি করলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বৃত্তির অর্থ উত্তোলনপূর্বক বৃত্তিধারীদের মধ্যে বিতরণে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বৃত্তির মেয়াদ ২০২৫ সালের জুলাই মাস হতে স্ব স্ব কোর্স সমাপনী পর্যন্ত (৩ থেকে ৫) বছর। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে অবশ্যই সরকার অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে। অন্যথায় বৃত্তি ভোগ করতে পারবে না।