হল ফিস্টে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্যের প্রতিবাদ ইবি ছাত্রদলের
- ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৫
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশিত খাবারের টোকেন মূল্যের অযৌক্তিক বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দীনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, সদস্য রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, কর্মী রাকিব হাসান স্বাক্ষর ও আলামিন হোসেন।
স্মারকলিপিতে তারা বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা রাখা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, এবারের বিজয় দিবসের খাদ্য পরিবেশনে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন টোকেন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আমাদের দৃষ্টিতে বৈষম্যমূলক এবং অযৌক্তিক। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই দিবসের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ভাগ করে এমন পৃথক মূল্য নির্ধারণ আমাদের ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
তারা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থী সমভাবে এই প্রতিষ্ঠানের অংশ, সে আবাসিক হোক কিংবা অনাবাসিক অধিকার ও মর্যাদায় সবাই সমান।৷ ধর্মীয়, রাজনৈতিক কিংবা আবাসিক-অনাবাসিক পরিচয়ের ভিত্তিতে মূল্য ভিন্নকরণ সামাজিক বৈষম্য তৈরি করে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে অপ্রয়োজনীয় বিভাজন সৃষ্টি করে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এসময় প্রশাসনের কাছে ২ দফা দাবি জানায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। দাবিগুলো হচ্ছে - নির্ধারিত খাবারের টোকেন মূল্য একীভূত করে সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমান মূল্য নির্ধারণ করতে হবে; ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি বা জাতীয় অনুষ্ঠানের খাদ্য/উপহার/সুবিধা প্রদান এর ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বৈষম্যমূলক নীতি অনুসরণ করা যাবে না।
স্মারকলিপি প্রদান করে অবিলম্বে টোকেন মূল্য একীভূত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের ঐক্য ও ন্যায়বোধ রক্ষায় হল প্রশাসন দ্রুত উদ্যোগ নেবে এই আশা ব্যক্ত করেন ছাত্রদলের নেতারা।
এর আগে, বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ৬০ টাকা এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি দেয় লালন শাহ হল প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তির ছবি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়।