১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই আসছে পে স্কেলের গেজেট?
- ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:০২
সরকারি চাকরিজীবীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত জুলাইয়ে পে কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রজ্ঞাপন জারি করে কার্যক্রম শুরুর পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ দাখিল করতে বলা হয়। সে হিসেবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত সময় রয়েছে কমিশনের হাতে। যদিও কমিশন বলছে, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সুপারিশ জমা দেয়া হবে।
এদিকে কমিশনকে নতুন পে স্কেলের জন্য সুপারিশ জমা দিতে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। তবে ওই সময়ের মধ্যে সুপারিশ দাখিল করতে পারেনি কমিশন। এর প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। সমাবেশ থেকে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন পে স্কেলের জন্য গেজেট প্রকাশ করে জানুয়ারি ২০২৬ সাল থেকে নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে গেজেট প্রকাশ না হলে ১৭ ডিসেম্বর কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে কর্মচারী সংগঠনগুলো।
ইতোমধ্যে কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, কর্মচারীদের আন্দোলনের বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে দ্রুত সুপারিশ চূড়ান্ত করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট করে সুপারিশের তারিখ জানায়নি কমিশন। কর্মচারীদের বেধে দেয়া সময় বিবেচনা করলে কর্মদিবস আছে মাত্র সাতদিন। এই সময়ের মধ্যে কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
প্রতিবেদন তৈরি ও দাখিল সময় বেধে দিয়ে হয় না মন্তব্য করে কমিশনের এক সদস্য দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলমান। লেখালিখি চলছে, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই সুপারিশ দাখিল করা হবে’। তবে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সুপারিশ দাখিল করা সম্ভব কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তর দেননি ওই সদস্য।
কমিশন ও সরকারি একাধিক সূত্র বলছে, কমিশনের সুপারিশ জমা দিতে ডিসেম্বর মাস লেগে যেতে পারে। ওই সুপারিশ যাচাইবাছাই করে নতুন বেতন কাঠামো তৈরিতেও সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে কর্মচারীদের বেধে দেয়া ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন পে স্কেলের গেজেট প্রকাশ করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।