বন্ধুত্বের টানে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শার্শায় সিমকো ইয়ং

কোরিয়ান নাগরিক সিমকো ইয়ং ও মুকুল হোসেন
কোরিয়ান নাগরিক সিমকো ইয়ং ও মুকুল হোসেন © টিডিসি

বন্ধুত্বের টানে চার হাজার কিলোমিটার দূর দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যশোরের শার্শার রাজনগর গ্রামে ছুটে এসেছেন কোরিয়ান নাগরিক সিমকো ইয়ং। ভিন্ন সংস্কৃতি ও দেশের সীমানা পেরিয়ে গড়ে ওঠা এই আন্তরিক বন্ধুত্ব দেখতে স্থানীয় মানুষজনের ভিড়ে গ্রামে তৈরি হয় উৎসবের আমেজ।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সিমকো ইয়ং। সেখানে আগত অতিথিকে স্বাগত জানান তার দীর্ঘদিনের বন্ধু মুকুল হোসেন। সকাল ১০টার মধ্যেই বিদেশি অতিথিকে নিয়ে মুকুল পৌঁছান তাদের রাজনগরের বাড়িতে। বিদেশি নাগরিককে একনজর দেখতে স্থানীয় মানুষের ঢল নামে চারপাশে; গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজ।

মুকুল হোসেন জানান, প্রায় ১২ বছর তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। সেই কোম্পানির মালিক সিমকো ইয়ংয়ের সঙ্গে তার গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। কাজ শেষে দেশে ফেরার অনেক বছর পরও বন্ধুত্বের সেই সেতুবন্ধন অটুট রেখেই বাংলাদেশে মুকুলের খোঁজ নিতে ছুটে এসেছেন সিমকো।

বাংলাদেশ নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সিমকো ইয়ং বলেন, ‘বাংলাদেশ খুব সুন্দর দেশ। এখানকার মানুষ অত্যন্ত ভালো এবং আন্তরিক। দেশটিকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে।’

স্থানীয়রা জানান, নিজেদের এলাকায় একজন বিদেশি অতিথি দেখে তারা অত্যন্ত আনন্দিত ও আপ্লুত। সিমকোর আগমন তাদের গ্রামে এনে দিয়েছে ভিন্নরকম আনন্দ ও উৎসবের রং।