সংশোধীত এমপিও নীতিমালার ৯ থেকে ১১.৪ ধারায় যা আছে, দেখুন এখানে
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৩৯
বেসরকারি স্কুল-কলেজ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। সংশোধীত নীতিমালার একটি অংশ সংগ্রহ করেছে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস।নীতিমালাটি যে কোনো সময় প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
নীতিমালার ৯.৪ ধারার উপধারা খ-তে বলা হয়েছে, ‘স্নাতক (পাস) স্তরে অধিভুক্ত কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এমপিও.ভুক্ত; কিন্তু স্নাতক (পাস) স্তরে এমপিওভুক্ত না হলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কোনো প্রভাষক পদ শূন্য থাকলে স্নাতক (পাস) স্তরের ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সালের পূর্ব বিধি মোতাবেক ও জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্যাটার্নভুক্ত পদে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ও বিষয়ে প্রভাষক উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সমন্বয়ের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হতে পারবেন। বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে শূন্য পদের বিপরীতে সমন্বয় হতে পারবেন। শুধু নিরাপত্তাকর্মী/ নৈশ প্রহরী/ আয়া/ অফিস সহায়ক/পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে এসএসসি/ দাখিল / সমমান সনদধারীরা সমন্বয়ের জন্য বিবেচিত হবেন।’
৯.৫ ধারায় বলা হয়েছে, ‘এমপিওভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠান কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেলে ঐ প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অফিস আদেশ জারি করে নিকটবর্তী কোনো সমপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদে সমন্বয় করতে পারবে।’
৯.৬ এ বলা হয়, অনগ্রসর গোষ্ঠী/দুর্গম পার্বত্য এলাকা/পিছিয়ে পড়া এলাকা/বস্তি/হাওড়-বাওড় চরাঞ্চল প্রভৃতি এলাকার বাস্তবতা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সময়ে সময়ে পরিপত্রের মাধ্যমে কোটার বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারবে।’
১০ এ বলা হয়, ‘সরকার সময়ে সময়ে কোন বিষয়কে আবশ্যিক হিসেবে ঘোষণা করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে উক্ত বিষয়টি এ নীতিমালায় প্যাটার্নভুক্ত পদের অর্ন্তভুক্ত হবে এবং উক্ত পদে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক/কর্মচারীগণ এমপিওভুক্ত হবেন।’
১১.১ এ বলা হয়, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক-প্রদর্শককে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এনটিআরসিএর নিবন্ধনধারী ও সুপারিশপ্রাপ্ত হতে হবে। প্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীকে পরিশিষ্ট 'ঘ' তে বর্ণিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে। এনটিআরসিএর নিবন্ধন শুরু হওয়ার পূর্বের সময়ের শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগকালীন চাকরিবিধি অনুযায়ী কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত হতে হবে।’
১১.২ এ বলা হয়, ‘বেসরকারি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ নীতিমালা জারির পূর্বে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত নিয়োগকালীন কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন এবং ঐ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সময়ে পরিশিষ্ট 'ঘ' অনুযায়ী কাম্য অভিজ্ঞতা না থাকলে বর্ণিত স্কেলের এক ধাপ নিচের স্কেলে বেতন-ভাতাদি পাবেন। তবে অভিজ্ঞতা পূর্ণ হলে পরিশিষ্ট 'ঘ' অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। এ নীতিমালা জারি হওয়ার পর এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনবলকাঠামোর পরিশিষ্ট 'ঘ' তে বর্ণিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ব্যতীত কাউকে নিয়োগ দেয়া যাবে না।’
সংশোধীত এমপিও নীমিমালার ১১.৩ ধারায় বিএড নিয়ে বলা হয়েছে, নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষায় ডিগ্রিবিহীন কোনো সহকারী শিক্ষক, সহকারী মৌলভী যোগদানের ৫ (পাঁচ) বছরের মধ্যে সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ অথবা সরকার কর্তৃক শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য অনুমোদিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অথবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষায় ডিগ্রি (বিএড/বিএমএড/সমমান যাদের ক্ষেত্রে এ সকল ডিগ্রি প্রযোজ্য) অর্জন করলে তিনি এ ডিগ্রির জন্য জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড-১০ এ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। শিক্ষায় ডিগ্রির জন্য প্রাপ্য এ গ্রেড উচ্চতর স্কেল/গ্রেড হিসেবে গণনাযোগ্য হবে না।
এই জনবলকাঠামো জারির পূর্বে শিক্ষায় ডিগ্রি বিহীন এমপিও.ভুক্ত শিক্ষকগণ এ জনবলকাঠামো জারির পরবর্তী ০৫ (পাঁচ) বছরের মধ্যে বর্ণিত প্রতিষ্ঠান হতে শিক্ষায় ডিগ্রি (বিএড/বিএমএড/সমমান যাদের ক্ষেত্রে এ সকল ডিগ্রি প্রযোজ্য) অর্জন করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলি সময়ে সময়ে পরিদর্শনপূর্বক হালনাগাদযোগ্য প্রতিষ্ঠানের তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।’
সংশোধীত এমপিও নীতিমালায় প্রতিষ্ঠান প্রধান কিংবা অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর শিক্ষা জীবনের একটিতেও তৃতীয় বিভাগ থাকলে তিনি আবেদন করতে পারবেন না। এই ধারা যুক্ত করা হয়েছে। আগের নীতিমালায় তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারতেন।
প্রকাশিত হতে যাওয়া নীতিমালার ১১.৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, স্নাতক (পাস) কলেজ, স্নাতক (সম্মান) কলেজ, স্নাতকোত্তর কলেজের এমপিওভুক্ত প্রভাষকরা এমপিওভুক্তির তারিখ হতে ০৮ (আট) বছর সন্তোষ জনক চাকরি পূর্তিতে প্যাটার্ন ভুক্ত প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপকের মোট পদের ৫০% নির্ধারিত বিভিন্ন সূচকে মোট ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে 'সহকারী অধ্যাপক' পদে পদোন্নতি পাবেন। ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে ০.৫ বা তার বেশি হলে পরবর্তী পূর্ণ সংখ্যা গণনা করে পদোন্নতি দেয়া যাবে। এতে মোট পদ সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না। অন্যান্য প্রভাষকরা এমপিওভুক্তির ১০ (দশ) বছর সন্তোষজনক চাকরি পূর্তিতে বেতন স্কেলের গ্রেড ৯ থেকে ৮ প্রাপ্য হবেন এবং পরবর্তী ০৬ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে এমপিওভুক্তির ১৬ (ষোল) বছর পূর্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। সহকারী অধ্যাপক পদের বেতন গ্রেড-৬ এ হবে।’