পে স্কেলের দাবিতে আহূত মহাসমাবেশ থেকে আসবে কঠোর কর্মসূচি?
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:৪১
কর্মচারীদের দেয়া ডেডলাইনের মধ্যে নতুন পে স্কেলের জন্য কমিশন সুপারিশ দাখিল না করায় এক দফা দাবিতে মহাসমাবেশ করবে সরকারি চাকরিজীবীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচিতে অংশ নিবেন কয়েক ডজন কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা।
নতুন বেতন কাঠামোর দাবি ইতোমধ্যে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন কর্মচারী নেতারা। চাকরিজীবীদের প্রত্যাশা, শুক্রবারের মহাসমাবেশ থেকেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হোক।
কর্মচারী সূত্রে খবর, শুক্রবারের মহাসমাবেশ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কঠোর কোনো কর্মসূচি আসার সম্ভাবনা কম। তবে চলমান কর্মসূচি চালু রেখে আগে থেকে দেয়া আল্টিমেটাম আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে, তথা নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন না হলে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শুক্রবারের কর্মসূচি থেকে আমরা সরকারকে বার্তা দেবো। সরকার যদি ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন পে স্কেল দেয়া না হয়, তবে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এখনো নতুন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আমরা আলোচনার মাধ্যমে কর্মসূচি ঠিক করবো। তবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কঠোর কর্মসূচি না দেয়ার ইঙ্গিত দেন এই নেতা।
পে স্কেলের দাবিতে আন্দোলন চলমান আছে জানিয়ে ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পে স্কেলের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলমান আছে। ১৫ তারিখ পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি থাকবে। সরকার যদি এর মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হন, তাহলে দাবি আদায়ের মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
তবে কর্মচারীদের অনেকেই চান, মহাসমাবেশে যেহেতু সারাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিবেন, তাই সমাবেশের মঞ্চ থেকেই কঠোর কর্মসূচি আসা উচিত। না হলে পে স্কেলের দাবি আদায় করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।