বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যকে মূলা পাঠালেন ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৩৭
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) চলমান নানা সংকটের প্রতিবাদে এবং দ্রুত সমাধানের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে প্রতীকী ‘মূলা’ পাঠিয়েছেন ববি ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় (৪ ডিসেম্বর) ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মীরা এই মূলা পাঠান। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নানা সংকটের জর্জরিত, তার অন্যতম হচ্ছে অবকাঠামো সংকট, আবাসন সংকট ও খেলার মাঠের সংকট। এসকল সংকট নিরসন জন্য প্রশাসন আমাদেরকে শুধু আশ্বস্ত করেই যাচ্ছে। তবে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ আমরা দেখতে পারছিনা।
ববি ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক মেহেদি হাসান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা সংকট চলমান থাকলেও আমরা এর কোনো কার্যকর সমাধান দেখতে পাচ্ছি না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের একের পর এক শুধু আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছেন, যা এখন ‘মূলা’তে পরিণত হয়েছে। এই মূলা নিতে নিতে আমরা বিরক্ত। তাই আজ প্রশাসনের দেওয়া সেই ‘মূলা’ প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে প্রশাসনকেই ফিরিয়ে দিলাম। আশা করি, এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের টনক নড়বে এবং তারা বাস্তব সমাধানের দিকে এগোবে।'
ববি ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি হাসিবুল হোসেন বলেন ,' বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সংকট যার কোনো প্রতিকার নাই , একটা মাত্র খেলার মাঠ সেটা পড়ে আছে , শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে তাদের বেতন নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে , রাস্তাগুলোর বেহাল দশা সেগুলোর প্রতি প্রশাসনের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই , আমরা সকল সংকটের দ্রুত সমাধান চাই।'
উপাচার্যের একান্ত সচিব ড.এ. এফ. এম. রহমান উদ্দিন কাছে শীতকালীন এই সবজিটি দেওয়ার সময় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের
ইসলামি ছাত্র আন্দোলন শাখার সভাপতি হাসিবুল হোসেন,সহ-সভাপতি আবু সালেহ মুহাম্মাদ হাসিবুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ সহ অনেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা উপাচার্যের একান্ত সচিবকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেভাবে রান করতেছে একটা বিশ্ববিদ্যালয় সেভাবে চলতে পারেনা। আমাদের শিক্ষার্থীরা অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অনশনে বসেছি, ভিসি, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার গিয়ে আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নের আশ্বস্ত করেছেন। যার ফলে অনশনরত শিক্ষার্থীদেরকে আমরা অনশন থেকে বলে উঠিয়েছিলাম। এই পর্যন্ত তিনি মাস হতে চললো, আমরা কর্তৃপক্ষে থেকে ন্যূনতম কিছু পায়নি। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাত্র খেলার মাঠ, সংস্কার কাজের ছয় মাস হতে চললো, সেটার এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি।
তারা আরো বলেন, চলিত বছরে বিশ্ববিদ্যালয় একটি হিট প্রজেক্ট পেয়েছিল, প্রজেক্টের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপাচার্য কাছে একটি ল্যাব রুম চেয়েছিল, কিন্তু তার দুই মাস হতে চললো সেটার এখনো কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি প্রশাসন। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন ২৫ই হওয়ার কথা থাকলেও বাকসুর নীতিমালা এখনো ইউজিসিতে পাঠাতে পারেনি প্রশাসন। তা নিয়ে আমরা খুব সংকীর্ণ জাতীয় নির্বাচনের আগে বাকসু হবে কিনা।
এভাবে সকল ক্ষেত্রে আমাদের শুধু আশ্বস্ত করেই যাচ্ছে প্রশাসন, যেটাকে এক প্রকরে আমরা বলি মূলা ঝোলানো। তার এই পরিপ্রেক্ষিতে নীরব প্রতিবাদ স্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি দপ্তরে মূলা দিয়ে গেলাম।