জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদনের সুযোগ আর একদিন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় © ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) এবং বিবিএ প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া আগামীকাল শুক্রবার শেষ হচ্ছে। এদিন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। গত ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ভর্তি সংক্রান্ত এক ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ বা ২০২৩ সালে মাধ্যমিক বা সমমান এবং ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তির জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ করে কেবল তারাই ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের অনলাইনে (https://admission.jnu.ac.bd) আবেদন করতে হবে।

ভর্তি প্রার্থীরা ২০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টা থেকে ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ শুক্রবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। ‘এ, বি, সি, ডি’ ইউনিটের আবেদন ফি  ১০০০ (এক হাজার টাকা+ সার্ভিজ চার্জ) এবং ‘ই’ ইউনিট (চারুকলা অনুষদ) ১২০০ (এক হাজার দুইশত টাকা+ সার্ভিজ চার্জ)। বিকাশ, রকেট, সেলফিন ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আবেদন ফি জমা দেবে। 

আবেদন যোগ্যতা
ইউনিট-এ (বিজ্ঞান ও লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) : বিজ্ঞান ও ভোকেশনালের (উপযুক্ত বিষয়সহ) শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.২৫ এর কম নয়।

ইউনিট-বি (কলা ও আইন অনুষদ): সকল শাখার শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.০০ এর কম নয়। 

ইউনিট-সি (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ): সকল শাখার শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.০০ এর কম নয়।

ইউনিট-ডি (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ): সকল শাখার শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.০০ এর কম নয়।

ইউনিট-ই (চারুকলা অনুষদ): সকল শাখার শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে। তবে শর্ত পূরণ সাপেক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাক বিএফএ সার্টিফিকেটধারী শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবে। এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৬.০০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ২.৫০ এর কম নয়।

এ ছাড়াও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি), ইংরেজি মাধ্যম অথবা বিদেশ থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে তাদের আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা তুল্যতা (Equivalence) সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে। তুল্যতা (Equivalence) সার্টিফিকেট-এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের admission ওয়েবসাইট থেকে https://admission.jnu.ac.bd/equivalences/apply-এই লিংকে প্রবেশ করতে হবে।

ইংরেজি মাধ্যম ‘ও’ লেভেলে ৫টি এবং ‘A’ লেভেলে ন্যূনতম ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। ‘ও’ লেভেলে ৫টি এবং ‘এ’ লেভেলে ২টি অর্থাৎ মোট সাতটি (৫+২) বিষয়ের মধ্যে যথাক্রমে ৪টি বিষয়ে কমপক্ষে বি-গ্রেড ও ৩টি বিষয়ে কমপক্ষে সি-গ্রেড থাকতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া ও করণীয়
প্রথমে https://admission.jnu.ac.bd এ ভিজিট করতে হবে। ‘Click here to Apply’ বাটনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য (এইচএসসি/সমমানের রোল ও শিক্ষাবোর্ড, এসএসসি/সমমানের রোল ও পাশের সন এবং মোবাইল নম্বর (ভর্তি সংক্রান্ত সকল যোগাযোগের জন্য উক্ত মোবাইল নম্বর ব্যবহৃত হবে।) প্রদান করে ‘Apply’ বাটনে ক্লিক করলে আবেদনকারীর তথ্য ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হবে। প্রদর্শিত তথ্য সঠিক হলে ‘Confirmation’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে (প্রদত্ত মোবাইল নম্বর) পাসওয়ার্ড প্রদান করা হবে। ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য পাসওয়ার্ডটি সংরক্ষণ করতে হবে। এরপর ‘Click here to Login’ অথবা ‘Applicant Login’ লিংকে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লগইন করতে হবে।

লগইন সফল হলে Dashboard-এ আবেদনকারীর মৌলিক তথ্যসহ আবেদনকারী যে সকল ইউনিটে আবেদন করার যোগ্য তার তালিকা প্রদর্শিত হবে। এখানে আবেদনকারী যে সকল ইউনিটে আবেদন করতে ইচ্ছুক তার পাশে ‘Click here to Apply’ বাটনে ক্লিক করে প্রত্যেক ইউনিটের জন্য পৃথকভাবে আবেদন করতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রতিটি ইউনিটের পাশে ‘Click here to See Subject List’ এ ক্লিক করলে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বিষয়সমূহ প্রদর্শিত হবে। আবেদনের এই ধাপে আবেদনকারীর ছবি, স্বাক্ষর, প্রশ্নপত্রের ভার্সন, কোটা সংক্রান্ত তথ্য (যদি থাকে) এবং ইউনিট ‘এ’ এবং ইউনিট ‘বি’ এর জন্য পরীক্ষার কেন্দ্র চয়েস করতে হবে। 

ইউনিট ‘সি’, ইউনিট ‘ডি’ এবং ইউনিট ‘ই’ এর পরীক্ষা শুধু ঢাকা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট ইউনিটে আবেদন করার পর ‘Pay Now’ বাটন প্রদর্শিত হবে এবং ‘Pay Now’ বাটনে ক্লিক করে bKash মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে প্রত্যেক ইউনিটের জন্য পৃথকভাবে পেমেন্ট করতে হবে।

পেমেন্ট পদ্ধতি 
bKash -এর মাধ্যমে পেমেন্ট করার পদ্ধতি: যে সকল আবেদনকারী bKash-এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চায় তারা Pay now by bKash মেনুতে ক্লিক করবেন। এরপর নির্ধারিত স্থানে bKash একাউন্ট নম্বর (bKash একাউন্ট আছে এমন মোবাইল নম্বর) প্রদান করে Confirm বাটনে ক্লিক করতে হবে। 

Confirm বাটনে ক্লিক করার পর প্রাপ্ত Verification Code নির্দিষ্ট স্থানে টাইপ করে পুনরায় Confirm বাটনে ক্লিক করতে হবে। Confirm বাটনে ক্লিক করার পর নির্দিষ্ট স্থানে bKash একাউন্টের পিন নম্বর টাইপ করে পুনরায় Confirm বাটনে ক্লিক করে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। Confirm বাটনে ক্লিক করার পর পেমেন্ট সম্পন্ন হলে Dashboard-এ, আবেদনকারী সংশ্লিষ্ট ইউনিটের Slip Download বাটনে ক্লিক করে পেমেন্ট স্লিপ ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করবেন।

আবেদনকারীর করণীয়
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদনকারীকে JnU Admission ওয়েবসাইট (https://admission.jnu.ac.bd)-এ গিয়ে ‘Applicant Login’ লিংকে ক্লিক করে এইচএসসি ও এসএসসি'র রোল নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং মোবাইল নম্বরে প্রদত্ত পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। Login করার পরে আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (যার Background সাদা 300×300 Pixel সর্বোচ্চ 150 KB সাইজ, JPG ফরম্যাট) এবং স্বাক্ষর 300×80 Pixel Upload করতে হবে।

কোটায় ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর কোটাভুক্ত হওয়ার জন্য অবশ্যই কোটা সংক্রান্ত নির্ধারিত তথ্য পূরণ করতে হবে, যেমন: মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা (FFQ)/ ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী কোটা (SEQ)/ শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটা (Differently Abled) (PDQ)/ খেলোয়াড় কোটা (SQ)/ হরিজন ও দলিত কোটা (HDQ)/ বিদেশি নাগরিক কোটা (FCQ)/ পোষ্য কোটা (WQ) উল্লেখ করতে হবে। উল্লেখ্য যে আবেদন করার সময় কোটা উল্লেখ না করলে পরবর্তীতে কোটাভুক্তির আবেদন বিবেচনা করা হবে না।

ইউনিট ‘এ’ ও ইউনিট ‘বি’ এর ক্ষেত্রে প্রার্থীকে কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আগ্রহী আবেদনের সময় অবশ্যই তা সিলেক্ট করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ ০৩ (তিন) টি আঞ্চলিক কেন্দ্রে (রাজশাহী, খুলনা ও কুমিল্লা) আয়োজন করছে। পূরণকৃত ফরমে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা পুনরায় চেক করতে হবে। 

মনে রাখতে হবে, Final Submit Button-এ Click করার পর পূরণকৃত ফরমের কোনো তথ্য পরিবর্তন করা যাবে না। তাই Final Submit Button-এ Click করার আগেই নিশ্চিত হতে হবে যে ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করা হয়েছে। চেক করার পর সকল তথ্য যথাযথ হলে Final Submit Button-এ Click করতে হবে।

পরীক্ষার পদ্ধতি
মোট ১০০ নম্বর বিবেচনায় মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে। নিম্নের ছকে উল্লেখিত তিনটি বিষয়ে বহুনির্বাচনী (MCQ) পরীক্ষা হবে। ইউনিট-এ, বি, সি ও ডি-এর সময় হবে ১ ঘণ্টা। ইউনিট-ই-এর পরীক্ষার সময় হবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

পরীক্ষার নম্বর বণ্টন নিম্নরূপ: বহুনির্বাচনী (MCQ) ৭২ নম্বর; SSC/সমমান-১০ নম্বর; HSC/সমমান-১৮ নম্বর। মোট ১০০ নম্বর।

এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ের নম্বর ২৪। তবে ইউনিট E-এর প্রতিটি বিষয়ের নম্বর ৯। প্রতিটি প্রশ্নের মান ০.৭৫। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে এবং তা বিষয়ভিত্তিক সমন্বয় করা হবে।

নোট: ইউনিট বি-এর অন্তর্ভুক্ত সংগীত ও নাট্যকলা এবং ইউনিট ডি-এর অন্তর্ভুক্ত ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের পর মেধা তালিকার ভিত্তিতে ৫০ নম্বরের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে। 

উল্লেখ্য, ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট হারে ফি প্রযোজ্য হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি ও সময়সূচি পরবর্তীতে https://admission.jnu.ac.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে। ইউনিট ই-এ ৪৫ নম্বরের ব্যবহারিক এবং ২৭ নম্বরের বহুনির্বাচনী (MCQ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষার বিষয়গুলো হলো
ইউনিট-এ (বিজ্ঞান ও লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) : পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিত অথবা জীববিজ্ঞান।

ইউনিট-বি (কলা ও আইন অনুষদ) : বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান। সকল শাখার জন্য। 

ইউনিট-সি (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) : বাণিজ্য শাখা-ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও হিসাব বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ। অন্যান্য শাখা- ইংরেজী, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও সাধারণ জ্ঞান। 

ইউনিট-ডি (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) : বাংলা, ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও সাধারণ জ্ঞান। সকল শাখার জন্য। 

ইউনিট-ই (চারুকলা অনুষদ) : ব্যবহারিক (ড্রইং), বহুনির্বাচনী (বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান)। সকল শাখার জন্য। উপরোল্লিখিত ইউনিটসমূহে প্রত্যেক বিষয়ে পরীক্ষার নম্বর সমান থাকবে।

ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি
চারুকলা অনুষদ (ই-ইউনিট): ১৩ ডিসেম্বর-২০২৫ (শনিবার) বেলা ৩টা থেকে বিকাল ৪টা ৩০মিনিট পর্যন্ত। বিজ্ঞান ও লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ (ইউনিট-এ): ২৬ ডিসেম্বর-২০২৫ (শুক্রবার) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ (ইউনিট-সি): ২৭ ডিসেম্বর-২০২৫ (শনিবার) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। আসন বিন্যাস যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

আরও পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ (ইউনিট-ডি): ৯ জানুয়ারি-২০২৫ (শুক্রবার) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। কলা ও আইন অনুষদ (ইউনিট-বি): ৩০ জানুয়ারি-২০২৬ (শুক্রবার) বেলা ৩.৩০টা থেকে বিকাল ৪.৩০টা পর্যন্ত। অনিবার্য কারণে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময় পরিবর্তন হতে পারে। সেরূপ ক্ষেত্রে যৌক্তিক সময়ের পূর্বেই মিডিয়া ও এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড, আসন বিন্যাস ও ভর্তি পরীক্ষার দিনে পরীক্ষার্থীর করণীয়
সফলভাবে আবেদনকৃত পরীক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট https://admission.jnu.ac.bd থেকে ওয়েবসাইটে উল্লেখিত তারিখ অনুযায়ী প্রবেশপত্র (Admit Card) প্রিন্ট করে নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে এবং পরীক্ষার দিন অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার তারিখ, সময় ও আসন বিন্যাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে মাধ্যমে পরীক্ষা শুরুর দুইদিন পূর্বে জানানো হবে। 

পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত কেন্দ্রে নির্ধারিত আসনেই পরীক্ষা দিতে হবে। উল্লেখ্য পরীক্ষা শুরুর ০৫ (পাঁচ) দিন পূর্বে প্রবেশপত্র ডাউনলোড কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। প্রবেশপত্র (Admit Card) ছাড়া কোনো পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। পরীক্ষার্থীকে প্রবেশপত্রটি ভর্তি পরীক্ষার দিন পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত প্রত্যবেক্ষক (Invigilator)-এর নিকট উপস্থাপন করতে হবে এবং তাতে প্রত্যবেক্ষক কর্তৃক স্বাক্ষর করিয়ে নিতে হবে। 

প্রত্যবেক্ষক কর্তৃক স্বাক্ষরকৃত প্রবেশপত্রটি পরীক্ষার্থীকে সংরক্ষণ করতে হবে কারণ পরবর্তীতে ভর্তির সময় প্রত্যবেক্ষক কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রবেশপত্রটি প্রয়োজন হবে। প্রবেশপত্র (Admit Card)-এর ছবির সাথে শিক্ষার্থীর মিল না থাকলে তার ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। 

পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ধরনের কোনো সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করাসহ পরীক্ষা বাতিল করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।