গাইবান্ধায় মাদক দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা © টিডিসি

গাইবান্ধা সদর উপজেলার ত্রিমোহিনী এলাকায় ছুরিকাঘাতে সাদ মাহামুদ সৈকত (৩৯) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের নির্জন স্থানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে তার মৃত্যু হয়। 

নিহত সৈকত গাইবান্ধা শহরের মাস্টার পাড়ার আলী আহমেদের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সৈকতকে শহর থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। বিরোধ মীমাংসার নাম করে তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় মজিবর নামের এক ব্যক্তি। পরে তাকে ত্রিমোহিনী এলাকায় নিয়ে একাধিক ব্যক্তি সম্মিলিতভাবে ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আসিফ সরকার সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, সৈকতের শরীরে ছুরির একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখনই তার প্রাণাবসান ঘটেছে।

নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ, মাদক সেবন ও ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সৈকতের সঙ্গে লিয়ন, মজিবর, পলাশ, জনিসহ স্থানীয় কয়েকজনের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ও শত্রুতা চলছিল। সৈকত সম্প্রতি জেল থেকে মুক্ত হয়ে কয়েকজন মাদক কারবারির সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যদের ধারণা, এই দ্বন্দ্বের জেরেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, সৈকতের নামের মাদক সেবন ও কারবারের দায়ে একাধিক মামলা রয়েছে এবং তিনি এ অভিযোগে কয়েকবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন। 

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি (তদন্ত) সুমঙ্গল জানান, হাসপাতালে গিয়ে সৈকতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের ময়নাতদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলমান।

এদিকে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক রবিউল আলম নিশ্চিত করেছেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার সঠিক কারণ ও ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত জোরদার করেছে।