জাতীয় নির্বাচনের আগেই পে স্কেল বাস্তবায়ন জরুরি
- ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৭
শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে বর্তমান বেতন কাঠামো দিয়ে নিম্ন গ্রেডের একজন কর্মচারীর পরিবার চালানো কোনো ক্রমেই সম্ভব নয়। সরকারের উচিত যতদ্রুত সম্ভব কর্মচারীদের পরিবারের ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা এবং এটা জরুরি।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত ‘ডিসেম্বরের মধ্যে ৯ম পে–স্কেলের গেজেট জারি ও মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতি ৫ বছর অন্তর গণকর্মচারীদের পে-স্কেল দেয়ার বাধ্যবাধতাকতা থাকলেও ১০ বছর কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পুনর্মূল্যায়ণ হয়নি বিষয়টি অমানবিক।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশের প্রায় ১৯ লাখ গণকর্মচারী একদফা ৯ম পে–স্কেলের গেজেট দ্রুত জারির দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ৫ ডিসেম্বর গণকর্মচারী সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পে-স্কেলের দাবিতে মহাসমাবেশের আয়োজন করেছেন। এছাড়াও ১৫ ডিসেম্বর এর মধ্যে পে-স্কেলের গেজেট জারি করা না হলে গণকর্মচারীরা স্থায়ী কর্মবিরতির মতো কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।
স্কপ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, সরকারি দপ্তরগুলোতে কৌশলে কর্মচারী শূন্য করার একটি দীর্ঘ মেয়াদী পায়তারা চলছে। সরকার আউটসোর্সিং নিয়োগের মাধ্যমে অনেক দপ্তরে স্থায়ী কর্মচারী নেই। সবার আগে সরকারি দপ্তর সংস্থায় আউটসোর্সিং নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। ঢাকঢোল পিটিয়ে পে-কমিশনের ঘোষণা দিয়ে এখন আবার দিবেন না এটা কোনো ভাবেই সঠিক সিদ্ধান্ত না। যতদ্রুত সম্ভব পে-কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করে জাতীয় নির্বাচনের আগেই ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
মহাসচিব বেল্লাল হোসেন বলেন ৫ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশে সারাদেশ থেকে কয়েক লক্ষ কর্মচারী উপস্থিত হবেন। পুরো ঢাকা শহর সরকারি কর্মচারীদ্বারা কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশের মাধ্যমে কর্মচারীর ন্যায় সঙ্গত দাবি ৯ম পে-স্কেলের গেজেট নির্বাচনের আগেই জারি করতে বাধ্য করবো।
এম এ হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন মিনিস্ট্রিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল খালেক। সংগঠনের মহাসচিব বেল্লাল হোসেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সচিবালয় নেতা আব্দুল খালেক, মূখ্য সমন্বয়ক ওয়ারেছ আলী, সমন্বয়ক লুৎফর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের সভাপতি আবু নাসির খান, সমন্বয় পরিষদের কার্যকরি সভাপতি জাকির হোসেন, মমতাজ সিকদার, মানিক মৃধা, সহসভাপতি রফিকুল আলম, শাহজাহান সম্রাট, নিজামুদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম।