শিক্ষকদের আন্দোলনে স্কুলে পরীক্ষা বন্ধ, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী–অভিভাবকরা
- ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৩
সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে মঙ্গলবার যশোর জিলা স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। পরীক্ষার সময়সূচিতে অনুযায়ী হঠাৎ পরীক্ষা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েও গেছেন তারা। তবে একই দিনে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ম গ্রেডসহ চার দফা দাবিতে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আহ্বানে শিক্ষকরা ‘নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি পালন করছেন।
দেশের সব মাধ্যমিক স্কুলে বর্তমানে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যেই ১ ডিসেম্বর থেকে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি নবম গ্রেডসহ চার দফা দাবিতে সারাদেশে কর্মবিরতি ঘোষণা করে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ ডিসেম্বর যশোর জিলা স্কুল ও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা বন্ধ ছিল। একই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও জিলা স্কুলে পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থী–অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা রাতজাগা পরিশ্রম করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধ হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন। পরীক্ষার পর দাদা বাড়ি–নানা বাড়ি কিংবা বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাদের। অনেক অভিভাবক আগেই বাস–ট্রেনের টিকিট কেটে রেখেছেন। পরীক্ষা না হওয়ায় সেই অর্থও নষ্ট হবে বলে তারা জানান।
ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা বলেন, দাবি আদায়ে শিক্ষকরা আন্দোলন করতে পারেন, কিন্তু পরীক্ষার্থীদের জিম্মি করে তা করা উচিত নয়। ডাক্তাররাও আন্দোলন করেন, কিন্তু জরুরি সেবা সচল রাখেন। শিক্ষকদেরও পরীক্ষা চালু রেখে আন্দোলন করার কথা ভাবা উচিত ছিল। এতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হতো না। পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ অভিভাবক–শিক্ষার্থীরা কালেক্টরেট চত্বরে বিক্ষোভ করেন এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ জানান।
যশোর জিলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘পরীক্ষা নেওয়ার সব প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু শিক্ষকরা আন্দোলনরত থাকায় কক্ষ পরীক্ষক পাওয়া যায়নি। তাই পরীক্ষা নিতে পারেনি।’
অন্যদিকে আন্দোলনের মধ্যেও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অল্পসংখ্যক শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়ে প্রধান শিক্ষক নিজেই পরীক্ষা পরিচালনা করেন। তিনি জানান, শিক্ষকরা আন্দোলনে থাকলেও কিছু শিক্ষক ও কর্মচারীর সহযোগিতায় আমি পরীক্ষা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছি।