জামিন পেলেন বিএসএফ পুশইন হওয়া সেই ৪ ভারতীয় নাগরিক

ভারতীয় ৪ নাগরিক
ভারতীয় ৪ নাগরিক © সংগৃহীত

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পুশইনের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেপ্তার অন্তঃসত্ত্বা নারী সোনালী খাতুনসহ ৪ ভারতীয় নাগরিককে চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় এক বাসিন্দার জিম্মায় জামিন দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয় আদালত) মো. আশরাফুল ইসলাম এ-সংক্রান্ত আদেশ দেন। 

এ ছাড়া স্থানীয় জিম্মাদার হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নয়াগোলা গ্রামের ফারুক হোসেন। তিনি সোনালী বিবির আত্মীয় বলে জানা গেছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী একরামুল হক পিন্টু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ভারতীয় চারজন নাগরিক হলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মুরারই থানার বাসিন্দা মো. মন্নু শেখের ছেলে মো. দানেশ (২৮), মো. ভোদু শেখের মেয়ে সোনালী বেগম (২৬), সেরাজুল শেখের মেয়ে সুইটি বিবি (৩৩), আজিজুল দেওয়ানের ছেলে কুরবান দেওয়ান (১৬)। এ ছাড়া ইমাম দেওয়ান (৬) এবং মো. দানেশের ছেলে মো. সাব্বির (৮) আসামী নন, তবে তারা তার মায়ের সাথে কারাগারেই ছিলেন। এ ছাড়া সোনালী বেগম চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।

আইনজীবী একরামুল হক পিন্টু বলেন, অন্তসত্ত্বা সোনালী খাতুন যে কোন সময় বাচ্চা প্রসব করতে পারেন। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনিসহ বাকী আরও তিনজনকে স্থানীয় একজনের জিম্মায় জামিন দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া আগামী ৩ ডিসেম্বর ওই মামলার শুনানীর দিন রয়েছে। ওইদিন আসামিদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. আমজাদ হোসেন বলেন, কোর্ট থেকে প্রেরিত কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে রাত পৌনে আটটার দিকে স্থানীয় ফারুক হোসেনের জিম্মায় চারজনকে কারামুক্ত করা হয়।

স্থানীয় জিম্মাদার ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমার জিম্মায় চারজনকে জামিন দিয়েছে। তবে পুলিশ আবার আমার বাসায় এসেছে। তাদের নাকি আবার থানায় নিয়ে যাবে।’

প্রসঙ্গত, ভারতের দিল্লিতে ইটভাটায় কাজ করার সময় গত ২৬ জুন নারী ও শিশুসহ ওই ছয়জনকে ‘বাংলাদেশি’ দেখিয়ে ভারতীয় পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়। এরপর তারা প্রায় দুই মাস ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের আলীনগর এলাকায় অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। পরে বুধবার (২০ আগস্ট) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের আটক করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল। এরপর নিজ দেশে ফেরত নেওয়ার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এজন্য তাদের এক দিন পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।