মাধ্যমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে দ্বিতীয় দিনের মতো স্থগিত বার্ষিক পরীক্ষা
- ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৯
চার দফা দাবিতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনেও বার্ষিক পরীক্ষাকে ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত করেছে। সোমবার কর্মবিরতি শুরুর পর মঙ্গলবারও ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। পরীক্ষা দিতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে ফেরত এসেছে। কোথাও কোথাও কর্মচারীদের পাহারায় পরীক্ষার আয়োজন করা হলেও বেশির ভাগ বিদ্যালয়েই পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে।
এ অবস্থায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা কর্মচারীদের মাধ্যমে নেওয়া হলেও দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা হয়নি। খুলনা, রাজশাহী, যশোর, কুমিল্লা ও দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকেও একই ধরনের বিঘ্নের খবর এসেছে।
সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে চলা এই আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেছেন, পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া সরকারি আচরণবিধির লঙ্ঘন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এ ধরনের কর্মবিরতির জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
ব্যানবেইসের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৬৩১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৩ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত। সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা, শূন্য পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি কার্যকর করা, বকেয়া টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড অনুমোদনসহ চার দফা দাবি আদায়ে শিক্ষকরা আন্দোলনে নেমেছেন। দাবি না মানায় রোববার থেকেই বিভিন্ন বিদ্যালয় বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ দেয়।
মাধ্যমিক শিক্ষকদের পাশাপাশি তিন দফা দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একাংশও কর্মবিরতিতে নেমেছে। যদিও ঢাকার বেশির ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা নিয়মিতভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তাদের কড়া নির্দেশনার কারণে রাজধানীতে কর্মসূচির প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দিলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে। নইলে বর্তমান শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।