বন্ধ হচ্ছে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, চূড়ান্ত অনুমোদন
- ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:০৯
দীর্ঘদিনের অনিয়ম, শাসনব্যবস্থার দুর্বলতা ও খেলাপি ঋণের জটিলতায় সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) খাত পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ‘ব্যাংক রেজুলিউশন অর্ডিন্যান্স-২০২৫’-এর আওতায় ৯টি এনবিএফআই-এর আনুষ্ঠানিক অবসায়নের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, লিকুইডেশন শুরুর আগে আমানতকারীদের পাওনা ফেরত দেওয়া হবে। সরকার প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার মৌখিক অনুমোদন দিয়েছে।
যে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে- এফএএস ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি), প্রিমিয়ার লিজিং, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, জিএসপি ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, আভিভা ফাইন্যান্স, পিপলস লিজিং ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে ৯ প্রতিষ্ঠানের মোট আটকে থাকা আমানত ১৫ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যক্তি গ্রাহকের আমানত ৩,৫২৫ কোটি টাকা এবং ব্যাংক ও করপোরেট আমানত ১১,৮৪৫ কোটি টাকা।
সবচেয়ে বেশি আমানত আটকে রয়েছে- পিপলস লিজিং ১,৪০৫ কোটি, আভিভা ফাইন্যান্স ৮০৯ কোটি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ৬৪৫ কোটি, প্রাইম ফাইন্যান্স ৩২৮ কোটি, এফএএস ফাইন্যান্স ১০৫ কোটি টাকা।
এ প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়েই রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ৫২ শতাংশ খেলাপি ঋণ, যার পরিমাণ গত বছরের শেষে দাঁড়ায় ২৫ হাজার ৮৯ কোটি টাকা। এছাড়া আট প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ঋণাত্মক ৯৫ টাকা, যা স্পষ্ট করে যে সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া দায় পরিশোধ অসম্ভব।
জানা গেছে, বোর্ড অনুমোদনের ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা, লিকুইডেটর নিয়োগ, সম্পদ বিক্রি ও প্রাপ্ত অর্থ পাওনাদারদের মধ্যে বণ্টনের কাজ শুরু করতে পারবে।