নীলফামারীতে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি, পরীক্ষা না দিয়েই ফিরে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

শিক্ষকদের আন্দোলনে বিপাকে শিক্ষার্থীরা
শিক্ষকদের আন্দোলনে বিপাকে শিক্ষার্থীরা © টিডিসি ফটো

চার দফা দাবির আবেদনে সরকারের সাড়া না পেয়ে দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আজ সোমবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে বিপাকে পড়েছেন নীলফামারীর পরীক্ষার্থীরা।

আজ সকাল থেকে নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ডোমার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নির্ধারিত থাকলেও কর্মবিরতির কারণে তা অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দিতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে শিক্ষার্থীরা।

নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ফারজানা মীলা কবির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শীতকে উপেক্ষা করে আমরা সকালেই প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছিলাম। এসে জানানো হলো কর্মবিরতির কারণে পরীক্ষা হবে না। এটা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে পরীক্ষাগুলো নেওয়া।’

গতকাল সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে পেশাগত মর্যাদা ও বেতন–ভাতা সম্পর্কিত চার দফা দাবি জানিয়ে আসলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে দুই দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি করা হলেও কোনো ফল না পাওয়ায় আজ থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।

শিক্ষকদের চার দফা দাবি

১️। সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত করে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের’ গেজেট প্রকাশ।

২️। বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা।

৩️। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদান।

৪️। ২০১৫ সালের আগের নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের দুই থেকে তিনটি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন বহাল রেখে গেজেট প্রকাশ।

কর্মবিরতিতে থাকা নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আক্তারুজ্জামান জানান, ‘সরকার দাবি মেনে নিলে শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিনেও পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হবে। কিন্তু আমাদের পাওনা অর্থ এবং ন্যায্য দাবি পূরণ না হলে কর্মবিরতি চলবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষিকা বলেন, ‘দাবিগুলো বাস্তবায়ন হলেই প্রতিষ্ঠান আগের মতো চলবে। সরকারের কর্ণপাত না হওয়ায় আমরা অনিচ্ছা সত্ত্বেও আন্দোলনে নেমেছি।’