কমলালেবুর রসে কমবে উচ্চ রক্তচাপ, বদল জিন বিন্যাসেও—আরও যত উপকার

কমলালেবুর রস
কমলালেবুর রস © সংগৃহীত

ফলের রস যেমন সুস্বাদু তেমন, শরীরে যোগায় প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট—যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে ত্বক, পরিপাক ও হৃদ্‌স্বাস্থ্যের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি টাটকা ফলের রস শরীরকে রাখে হাইড্রেটেড। 

ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালোফোর্নিয়া, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি ব্রাজ়িলের সাও পাওলো ইউনিভার্সিটির গবেষকদের দাবি, শীতকালীন ফল কমলালেবুর রস নিয়মিত খেলে নিয়ন্ত্রণে আসবে উচ্চ রক্তচাপ, কমবে স্থূলতার সমস্যা। এমনকি শরীরের কিছু বিশেষ জিনের বিন্যাসে বদল আসবে। ফলে প্রদাহজনিত রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

‘মলিকিউলার নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড রিসার্চ’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষনায় দেখা গেছে, কমলালেবুর রসে রয়েছে সিট্রাস ফ্ল্যাভোনয়েড, যা একই সঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরে প্রদাহ কমায়, রক্তসঞ্চালনে সাহায্য করে। স্ট্যানফোর্ডের গবেষকেরা দফায় দফায় পরীক্ষা করে দেখেছেন, দিনে ২ কাপ করে কমলালেবুর রস টানা ২ মাস খেয়ে গেলে শরীরে অনেক বদল আসে।

যাদের ওপর পরীক্ষাটি করা হয়েছিল, তাঁদের উচ্চ রক্তচাপ মাস দুয়েকের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সেই সঙ্গে তাদের শরীরের প্রায় ১৭০০ জিনে বদল আসে। ওই বদলের কারণে প্রদাহজনিত সমস্যা কমে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি অনেকটাই বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন : ছোট ‘সুপারফুড’ কোয়েলের ডিমে যত উপকার, খাবেন না কারা

২০১৯ সালের একটি গবেষণাতেও কমলালেবুর রসের বহু প্রকার গুণের কথা প্রকাশিত হয়েছিল ‘জার্নাল অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ইন্ট্রামেডিয়ারি মেটাবলিজ়ম’ জার্নালে। গবেষণাতে লেখা ছিল, কমলালেবুতে থাকা ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, কোলিন হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ উপকারী। হৃদ্‌যন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে, হৃৎস্পন্দনের গতি ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

কমলালেবুতে উপস্থিত গ্লাইসেমিক সূচক প্রায় ৪৩, ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় না। সাধারণত গ্লাইসেমিক সূচক ৫৫ বা তার বেশি হলে, সে সব খাবার ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য উপযোগী নয়। কিন্ত কমলালেবুর রস খেতে হবে কোনো রকম চিনি বা প্রিজারভেটিভ ছাড়া। তবেই উপকারিতা পাওয়া যায়। তাই বাড়িতে বানিয়ে খাওয়াই উত্তম।

সূত্র : আনন্দবাজার