প্রেমিককে হত্যা বাবা-ভাইয়ের, মরদেহকেই বিয়ে করলেন প্রেমিকা
- ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৪
ভারতের মহারাষ্ট্রের নানদেড় এলাকায় এক যুবককে তার প্রেমিকার পরিবার গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা এ সম্পর্কের বিরোধিতা করছিল। শেষকৃত্যের আগে ওই নারী প্রেমিকের মরদেহের পাশে গিয়ে সিঁথিতে সিঁদুর পরে তাকে বিয়ে করেন এবং নিজের পরিবারের সর্বোচ্চ শাস্তি—মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
জানা গেছে, গত তিন বছর ধরে সক্ষম ট্যাট এবং আঁচল মামিলওয়ারের সম্পর্ক ছিল। আঁচলের পরিবার তাদের সম্পর্কের বিরোধিতা করত। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারা জানতে পারে যে, সক্ষম তাদের এলাকায় ঘুরছিল। এ সময় আঁচলের বাবা গজনন মামিলওয়ার, তার দুই ছেলে সাহিল ও হিমেশ এবং আরও কয়েকজন মিলে সক্ষমকে আক্রমণ করে। প্রথমে তাকে গুলি করা হয়, এরপর বড় পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানায়, নিহত সক্ষম এবং অভিযুক্তদের উভয়েরই পূর্বে অপরাধমূলক রেকর্ড ছিল। আঁচলের ভাইয়েরা সক্ষমের বন্ধু ছিল এবং সে প্রায়ই তাদের বাসায় যেত। পরিবার বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সক্ষম আঁচলের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যায়, যা আঁচলের পরিবারকে আরও ক্ষুব্ধ করেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আকাশসীমা বন্ধ ও স্থল অভিযানের ঘোষণা ট্রাম্পের, সংকটে ভেনিজুয়েলা?
হত্যার খবর পেয়ে আঁচল ছুটে যায় সক্ষমের বাড়িতে এবং মরদেহের পাশে দাঁড়িয়ে সিঁথিতে সিঁদুর পরে জানিয়ে দেয় যে, তিনি এখনও তাকে নিজের সঙ্গী হিসেবেই মানেন।
তিনি তার বাবা-মা ও ভাইদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেন, অভিযোগ করেন তারা পরিকল্পিতভাবে সক্ষমকে হত্যা করেছে—জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই তারা তাকে হুমকি দিচ্ছিল। আঁচল আরও জানান, সক্ষম ভিন্ন জাতের হওয়ায় তার পরিবার তাকে টার্গেট করেছিল।
সক্ষমের মায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ইটওয়ারা পুলিশ আঁচলের বাবা-মা, ভাইদেরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা এবং নিপীড়নের মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই আটজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।